শীতের আমেজে জীবনের নতুন অধ্যায়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক ধাপ সেরে ফেললেন মধুমিতা সরকার ও দেবমাল্য চক্রবর্তী। বন্ধুদের আড্ডা আর উষ্ণ শুভেচ্ছার মাঝেই সম্পন্ন হল তাঁদের প্রথম আইবুড়ো ভাত। সামাজিক মাধ্যমে সেই মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিয়ে টলিপাড়ার ‘চিনি’ যেন নীরবেই জানিয়ে দিলেন বিয়ের প্রস্তুতি আর শুধুই গুঞ্জন নয়, বাস্তবের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে।
রবিবারের ছুটির দিনে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল এই আইবুড়ো ভাত। তবে নামের সঙ্গে চেনা প্রথার মিল খুব একটা ছিল না। ভাত, পাঁচরকম ভাজা কিংবা বাঙালি রান্নার বদলে পাতে জায়গা করে নিয়েছিল বিদেশি স্বাদের নানা পদ। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি জমে উঠেছিল প্রাণখোলা আড্ডা। সাদা সালোয়ারে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে ধরা দিলেন মধুমিতা, পাশে ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী দেবমাল্য। দু’জনের চোখেমুখেই স্পষ্ট ছিল নতুন শুরুর উত্তেজনা।
এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীদের আবেগ যেন উপচে পড়েছে। কারণ মধুমিতার জীবনের এই মুহূর্ত শুধু বিয়ের প্রস্তুতি নয়, দীর্ঘ অপেক্ষা আর অতীতের ভাঙনের পর পাওয়া এক নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের গল্প। খুব অল্প বয়সে প্রথম বিয়ে, তারপর সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার যন্ত্রণা সব পেরিয়ে অভিনেত্রীর জীবনে ফের এসেছে নতুন বসন্ত। পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেও যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে শক্ত হয়েছে, আজ তা বিয়ের পথে।
শিল্পীজগতের অন্দরমহলে শোনা যাচ্ছে, শীতকালেই সাতপাকে বাঁধা পড়বেন মধুমিতা ও দেবমাল্য। দিনক্ষণ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানানো হয়েছে, জানুয়ারির শেষ ভাগেই হতে পারে মূল অনুষ্ঠান। বিয়ের সাজপোশাক নাকি ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত, আর মেনুতে বাঙালি পদ রাখার ইচ্ছেও রয়েছে অভিনেত্রীর। যদিও প্রথম আইবুড়ো ভাতেই দেখা গেল আধুনিকতার ছোঁয়া।
পাঁচ বছরের সম্পর্ক, ধীরে গড়ে ওঠা বিশ্বাস আর বন্ধুত্ব সব মিলিয়ে এই জুটি এখন একে অপরের কাছে সবচেয়ে নিশ্চিন্ত আশ্রয়। আইবুড়ো ভাতের ছবিতে সেই নিশ্চিন্ততারই ছাপ দেখছেন অনুরাগীরা। আর তাই শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় ভরে উঠেছে মধুমিতার সামাজিক মাধ্যম। টলিপাড়ার দুষ্টু-মিষ্টি মেয়েটির জীবনে এবার যে সুখের পরিণতি আসতে চলেছে, তা যেন আর গোপন নেই।
আরপি/টিকে