বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা নিজেদের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি। আজও তারা বাংলাদেশপন্থী হতে পারেনি। স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের হাতে দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ নয়।’
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে উপজেলায় আয়োজিত বিজয় দিবসে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন, শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এদিন সকালে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধান নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক বীর-উত্তম জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি, স্বাধীনতা রক্ষা ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে পরীক্ষিত ও অঙ্গীকারাবদ্ধ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে বিএনপি কাজ করবে, দেশ গড়বে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দিল্লি, পিন্ডি, তুরস্ক , মস্কো কিংবা ওয়াশিংটনের প্রেসক্রিপশনে রাজনীতি বা দেশ চলবে না।
দেশ চলবে দেশবাসীর কথায়। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা একাত্তরকে নয়, শুধু চব্বিশকে নিজেদের কলিজার টুকরা মনে করে। তারা চব্বিশ দিয়ে একাত্তরকে মুছে দিতে চায়। অথচ একাত্তরই আমাদের রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে।
স্বাধীনতাবিরোধীদের মুখে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা মানায় না।’
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একাত্তরের চেতনা ধ্বংস করেছিল। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান সেই চেতনাকে পুনরুদ্ধার করে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের পথ নির্দেশনা দিয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে একাত্তর ও চব্বিশকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়, জাতিকে বিভক্ত করতে চায়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থান উভয়ই স্বমহিমায় মহিমান্বিত।
এগুলো একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং পরিপূরক। বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক বীর-উত্তম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত ও মুক্তিযোদ্ধাদের দল। এই দল কখনো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেনি, বরং স্বাধীনতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে আপসহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। যারা স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে ক্ষমতায় থেকে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, তারাই আজ সবচেয়ে বড় ভণ্ড। জনগণ আর বিভ্রান্ত হবে না। সময় এসেছে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্ট করে দেওয়ার।’
কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাই প্রমুখ।
এমকে/এসএন