বিজয় দিবসে নতুন বিজ্ঞাপন নিয়ে হাজির গুণী অভিনয়শিল্পী মৌটুসী বিশ্বাস। কয়েক মাস আগে তিনি হাজির হয়েছিলেন কিশোরীদের বিকাশের বার্তা নিয়ে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে।
আর একটি স্টিল কোম্পানির এই বিজ্ঞাপনে দেশপ্রেমকে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন নির্মাতা মাহাথির স্পন্দন। সাড়ে ৪ মিনিট দৈর্ঘ্যরে এই বিজ্ঞাপনে মৌটুসীকে দেখা যাচ্ছে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আয়েশা শারমিনের চরিত্রে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতার অভাব দেখে যিনি খুবই হতাশ। মনকষ্টে ভুগতে থাকেন নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছেন কি না, এমন সন্দেহে।
‘প্রত্যেকে যদি তার নিজের কাজটি নিজের দায়িত্বে সুষ্ঠুভাবে পালন করে তবেই হবে দেশের উন্নয়ন, আর এর থেকে বড় দেশপ্রেম আর কী হতে পারে?’ এমন বার্তাই পৌঁছে দিয়েছেন মৌটুসী বিশ্বাস।
কাজটি সম্পর্কে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি তো এখন একেবারেই কাজ করি না বললেই চলে। কারণ, মনে ধরার মতো প্রস্তাব হরহামেশা আসে না। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনটি সত্যি আমার হৃদয়ের কাছাকাছি থাকবে আজীবন। কেন এ কথা বলছি, তা বিজ্ঞাপনটি যারা দেখবেন তারা বুঝতে পারবেন। আমি এমনিতেই দেশের প্রতি বরাবরই দুর্বল, আর এতে সেই দেশপ্রেমকে দারুণ এক আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাহাথির স্পন্দন আমার খুব প্রিয় নির্মাতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত বিজ্ঞাপন এতো লম্বা হয় না। এতে আমার প্রচুর সংলাপ ছিল। এজন্য সহশিল্পী নরেশ ভূঁইয়ার সঙ্গে শুটিংয়ের আগে রিহার্সেল করেছি।’
নির্মাতা মাহাথির স্পন্দন বলেন, ‘বিজয় দিবসের ক্যাম্পেইনে আমরা যে থিমের কাজ দেখি তেমন কিছু করতে চাইনি। আমরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছি, যার মাধ্যমে সত্যিই সর্বোচ্চ মাত্রার দেশপ্রেম প্রকাশ পায়। দেখবেন, আমাদের সমাজের অনেকেই একজন খেলোয়াড়, শিল্পী কিংবা নেতাকে তাদের কাজ কিভাবে করতে হবে তা শিখিয়ে বেড়ান। কিন্তু নিজের কাজটাই ঠিকভাবে পালন করেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই জায়গাটিই আমরা বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে স্পর্শ করতে চেয়েছি। আর তার জন্য এমন একজন শিল্পীকে বেছে নিতে চেয়েছি যিনি এই চিন্তাটি নিজের মধ্যে ধারণ করেন। মৌটুসী বিশ্বাস তেমনি একজন শিল্পী। তাছাড়া যে ধরনের বয়স ও পারফরমেন্স আশা করছিলাম, সেটিও ঠিকভাবে ডেলিভারি দিতে পেরেছেন। তাই যারা কাজটি দেখেছেন তারা সবাই প্রশংসা করছেন। এখানেই আমাদের স্বার্থকতা।’
এসএন