মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার মাটিতে এসে পৌঁছাবেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।’
ওইদিন রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক হয়। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। রাত সাড়ে ৯টায় এ বৈঠক শুরু হয়। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ছাড়াও অন্য নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসছেন। তার এ আগমনকে শুধু স্বাগত নয়, আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটা বৈঠক হয়েছিল, সেখানেই নির্বাচনের সময় জানানো হয়েছিল।’
তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও শাশুড়ি খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন তিনি। বর্তমানে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। লন্ডন থেকেই দল পরিচালনা করছেন তারেক রহমান। এক-এগারোর সরকার এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শ’খানেক মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় তার সাজাও হয়েছিল।
এবি/টিকে