দীর্ঘদিনের যাত্রা শেষ। সাত ডিসেম্বর সম্প্রচারিত শেষ পর্বের মধ্য দিয়ে পর্দা নামল জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকির। শেষ পর্বের সঙ্গে সঙ্গেই মন ভারী হয়েছে অসংখ্য দর্শকের। আবেগ, অভ্যাস আর প্রতিদিনের অপেক্ষার জায়গা জুড়ে থাকা এই ধারাবাহিক বিদায় নিতেই অনুরাগীদের মনখারাপ যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ঠিক সেই সময়েই নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এলেন ফুলকি খ্যাত অভিনেত্রী দিব্যাণী মণ্ডল।
ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর শহরের কোলাহল ছেড়ে দিব্যাণী পাড়ি দিয়েছেন বৃন্দাবনে। সেখান থেকেই মঙ্গলবার একটি ভিডিও বার্তা ভাগ করে নেন তিনি। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরে রাধা-কৃষ্ণের লীলাক্ষেত্রে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। মুখে প্রশান্তির হাসি, চোখে যেন একরাশ শান্তি আর আত্মিক তৃপ্তির ছাপ।
ভিডিওর সঙ্গে দেওয়া লেখাতেই ধরা পড়ে দিব্যাণীর মনের গভীর অনুভূতি। তিনি লেখেন, তাঁর প্রতিটি ভালোবাসা, বেঁচে থাকার প্রতিটি মনখারাপ, ফিসফিস করে বলা সব প্রার্থনা আর লুকিয়ে থাকা চোখের জল সব পথ গিয়েছে কৃষ্ণের দিকেই। তাঁর কথায়, তিনি কৃষ্ণ থেকেই এসেছেন, কৃষ্ণের জন্যই বেঁচে আছেন এবং একদিন তাঁর মধ্যেই বিলীন হয়ে যাবেন। এই আবেগঘন বার্তাই নতুন করে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়ায় শুরু হয় নানা জল্পনা। একাংশ মনে করছেন, ফুলকি শেষ হতেই কি নিজের প্রেমের অনুভূতির কথা প্রকাশ্যে আনলেন দিব্যাণী। আবার অনেকেই বলছেন, এই অনুভূতি কোনও পার্থিব প্রেমের নয়, বরং ঈশ্বরপ্রেম ও আত্মিক শান্তির প্রকাশ। দুই মতের মাঝেই অনুরাগীদের ভালোবাসা ভরে উঠেছে মন্তব্যের ঘর।
ভিডিওর নীচে দর্শকদের প্রতিক্রিয়াও সমান আবেগঘন। কেউ লিখেছেন, শেষ পর্ব দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। কেউ আবার ফুলকি টিমকে ভীষণ মিস করার কথা জানিয়ে, খুব তাড়াতাড়ি আবার সবাইকে একসঙ্গে পর্দায় দেখার আশা প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ফুলকি শেষ হওয়ার খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে সংবাদমাধ্যমে। ধারাবাহিকের পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ জানিয়েছিলেন, যার শুরু আছে, তার শেষ থাকবেই। দর্শকদের ভালোবাসাকেই তিনি এই যাত্রার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে উল্লেখ করেন।
সব মিলিয়ে ফুলকি অধ্যায় শেষ হলেও দিব্যাণী মণ্ডলের নতুন অধ্যায় শুরু হয়ে গেছে বলেই মনে করছেন অনেকে। বৃন্দাবনের এই সফর, আবেগঘন অনুভূতি আর নীরব বার্তা সবকিছু মিলিয়ে অভিনেত্রীর আগামী পথচলা নিয়ে কৌতূহল এখন তুঙ্গে।
আরপি/এসএন