ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যু এবং চলমান অনবরত ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাদ জুমা নগরীর নিউ মার্কেট সংলগ্ন বায়তুন নূর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে কর্মসূচিটি শুরু হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জুলাইযোদ্ধা আল শাহরিয়ার, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আবুজার আলকামা, তাসনিম চৌধুরী, ড. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, মিরাজ হোসেন, সাইফ নেওয়াজ, নিয়াজ আলম রনি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শরীফ ওসমান হাদি কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ট ছিলেন না এবং তিনি কোনো দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেননি। তিনি কেবল বাংলাদেশের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কথা বলেছেন এবং ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী ভূমিকা পালন করছে তা জনগণ জানতে চায়। তাদের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং প্রশাসনের ব্যর্থতা বা মদদেই অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছে।
সমাবেশ থেকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পদত্যাগের দাবিও জানানো হয়।
খুলনার বিপ্লবী ছাত্রজনতার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা ও অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় ‘ভারতের দালালদের হুঁশিয়ার, আওয়ামী লীগের দালালদের হুঁশিয়ার, দিল্লির দালালদের হুঁশিয়ার’ এ ধরনের স্লোগান শোনা যায়।
এ ছাড়া ‘টক শোর সুশীলদের হুঁশিয়ার, মিডিয়ার সুশীলদের হুঁশিয়ার’ বলেও স্লোগান দেওয়া হয়।
সমাবেশে আরো শোনা যায় ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ, দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও, রুখে দাও।’ বক্তারা বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মত্যাগ ভুলে যাওয়ার নয় এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই এখনো শেষ হয়নি। তারা চলমান রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতিতে ছাত্রসমাজকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
এবি/টিকে