রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাতের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন রিমান্ড শেষে সাংবাদিক আলমগীরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

ওই আবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসামিকে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে মামলাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্যাদি যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। যাচাইকালে তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেলে আসামিকে পুনরায় রিমান্ডে আনার প্রয়োজন হতে পারে।

পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এ সময় আইনজীবী নাজনীন নাহার ও আসামিপক্ষের অন্য আইনজীবীরা তার কারাগারে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এর আগে গ্রেপ্তারের পর গত ১৫ ডিসেম্বর আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর জুলাই রেভুল্যুশনারি এলায়েন্সের সংগঠক আরিয়ান আহমেদ বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় এই মামলাটি করেন। এতে সাংবাদিক আনিস আলমগীর ছাড়াও মেহের আফরোজ শাওনকে আসামি করা হয়। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। কিন্তু তার অনুসারীরা দেশের মধ্যে বিভিন্ন কৌশলে ঘাপটি মেরে অবস্থান করে দেশকে অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। আসামিরা আগে থেকে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় রয়েছে।

তারা গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টক শোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আসছে। গত ১৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আরিয়ান আহমেদ উত্তরা পশ্চিম থানার ১১নং সেক্টরস্থ ৫নং রোডের ৫নং বাসায় বসে মোবাইলে দেখতে পান, আসামিরা ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার পাঁয়তারা করছেন। তাদের বিভিন্ন পোস্টের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে।

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র : গভর্নর Dec 20, 2025
img
ওয়ারফেজের লিগ্যাসি কনসার্ট ট্যুর স্থগিত Dec 20, 2025
img
এপিএল সিজন-২ এর ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন 'দ্য অ্যাডভোকেটস চিটাগং' Dec 20, 2025
img
সালমান খানকে নিয়ে পাকিস্তানি অভিনেত্রীর মন্তব্য Dec 20, 2025
img
আমার ভাই হত্যার বিচার যেন প্রকাশ্যে দেখতে পারি : ওসমান হাদির ভাই Dec 20, 2025
img
বকেয়া বেতনের দাবিতে যাত্রীবাহী বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ করে দেন পাইলট Dec 20, 2025
img
সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে আমি এমপি হতে চেয়েছি : অ্যাটর্নি জেনারেল Dec 20, 2025
img
একটি চক্রান্তকারী মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে : টুকু Dec 20, 2025
img
রোববার দিনে কমতে পারে তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 20, 2025
img
নীরব বিদায় আর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সংস্কৃতি নিয়ে শামসুর শুভর দুঃখ প্রকাশ Dec 20, 2025
img

হাদিকে নিয়ে তাওহিদ হৃদয়

বিদায়বেলায় এত ভালোবাসা সবার কপালে থাকে না Dec 20, 2025
img
গর্তে লুকিয়ে থাকাদের উদ্দেশ্যে বার্তা ইশরাকের Dec 20, 2025
img
স্ত্রীর দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের Dec 20, 2025
img
ওসমান হাদির নামে সন্তানের নাম রাখলেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী Dec 20, 2025
img
মুশফিককে কেন রাজশাহীর ‘লিডার’ বললেন কোচ হান্নান সরকার ? Dec 20, 2025
img
১৪ কেজি সোনা পাচার মামলায় অভিনেত্রীর সুপ্রিম কোর্টের আবেদন খারিজ Dec 20, 2025
img
প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ সুশীল সংবাদপত্র অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: রাকসু ভিপি Dec 20, 2025
img
নিজেকে বদলানোর পেছনে রয়েছে সময়ের সঠিক ব্যবহার: শাকিব খান Dec 20, 2025
img
আমাদের আরও হাজার হাজার, শত শত হাদির প্রয়োজন: শায়খ আহমাদুল্লাহ Dec 20, 2025
img
৩ বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন সিইসি Dec 20, 2025