তুলসী চা তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি একটি ভেষজ পানীয়, যা সর্দি-কাশি, স্ট্রেস ও সংক্রমণ প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী; এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যা মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে এর উপকারিতা আরও বাড়ে।
শীতের সকালে তুলসী চা খাওয়ার ৫ কারণ-
১. ঠান্ডা–কাশি থেকে সুরক্ষা দেয়: তুলসীর প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ শীতকালে সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তুলসী শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে, ফলে শীতের মৌসুমি অসুখ সহজে ধরতে পারে না।
৩. শরীর গরম রাখে: শীতের সকালে তুলসী চা শরীরের ভেতর থেকে উষ্ণতা দেয় এবং কাঁপুনি বা ঠান্ডাজনিত অস্বস্তি কমায়।
৪. হজমশক্তি উন্নত করে: গ্যাস, বদহজম ও পেট ফাঁপা কমাতে তুলসী চা কার্যকর—বিশেষ করে শীতকালে ভারী খাবারের পর।
৫. মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমায়: তুলসী প্রাকৃতিক স্ট্রেস রিলিভার। সকালে এক কাপ তুলসি চা মনকে শান্ত করে ও দিন শুরু করতে সতেজতা দেয়।
যেভাবে তুলসী চা বানাবেন
উপকরণ: পানি, তাজা তুলসী পাতা, আদা কুচি, মধু, এবং লেবুর রস।
প্রস্তুত প্রণালী: একটি পাত্রে পানি নিয়ে তুলসী পাতা ও আদা কুচি দিয়ে ১০ মিনিট ফোটান। ছেঁকে নিয়ে কাপে ঢালুন। গরম থাকা অবস্থায় এতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
কাদের জন্য সতর্কতা-
যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান (অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট), তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত, কারণ তুলসীর প্রাকৃতিক রক্ত পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত, কারণ এটি শর্করা কমাতে পারে।
টিজে/টিকে