এক টেস্টে ওপেনারদের ৪টি সেঞ্চুরি করার বেশ কয়েকটি নজির আছে। সেটা দুই দল মিলিয়ে। যদি এক দলের ওপেনারদের কথা বলা হয়? আজকের আগে তেমন নজির একটিও ছিল না। সে জন্যই তো মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ডেভন কনওয়ে ও টম লাথামের ৪টি সেঞ্চুরি ইতিহাসে লেখা হয়ে গেল।
কনওয়ে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিক ১০০ রান করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই ৪টির মধ্যে ডেভন কনওয়ের একটি ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করেছিলেন তিনি। লাথাম করেছিলেন ১৩৭। আজ দ্বিতীয় ইনিংসে কনওয়ে করলেন ১০০, লাথাম ১০১। শুধু টেস্টে নয়, ক্রিকইনফো বলছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও এক দলের দুই ওপেনারের চার সেঞ্চুরির নজির এটিই প্রথম।
প্রথম ইনিংসে ৫৭৫ রান করা নিউজিল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে দেয় ৪২০ রানে। কাভেম হজ প্রথম দিন শেষে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন, তার সঙ্গী ফিলিপ অ্যান্ডারসন ১২ রানে। হজকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিউজিল্যান্ডের রানপাহাড় ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে থাকতে পারে, ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে না নামা শাই হোপও তো ছিলেন। ফিলিপ ১৭ রানে ফিরে গেলে হোপ মাত্র ৪ রানে শিকার হন। জায়দেন সিলস করেন ১৫, কেমার রোচ ০। হজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন।
১৫৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে থাকা নিউজিল্যান্ড দ্রুতই বোর্ডে রান যোগ করে। কনওয়ের পর লাথামও সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান। তারা দুজনই উইকেট দেন হজকে। এরপর কেন উইলিয়ামসন ৪০ ও রাচিন রবীন্দ্র ৪৬ রানে ব্যাট করতে থাকাবস্থায় ৩০৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছে ৪৬২ রানের লক্ষ্য।
লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিনা উইকেটেই চতুর্থ দিন শেষ করেছে। শেষ বিকেলে তারা তুলেছে ৪৩ রান। ব্রান্ডন কিং ৩৭ ও জন ক্যাম্পবেল ২ রানে অপরাজিত। জেতার জন্য আরও রান দরকার ৪১৯। তারা যদি এই রান করেই ফেলে, তাতে হয়ে যাবে বিশ্ব রেকর্ড। এত রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের নজির নেই। ২০০৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এসকে/টিকে