সহ-অভিনেত্রী সারা অর্জুনের সঙ্গে আচরণ ঘিরে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা রাকেশ বেদী। ‘ধুরন্ধর’ ছবির ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর অভিযোগ ওঠে, মঞ্চে সারা অর্জুনকে নাকি চুম্বন করেছেন তিনি। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেতা।
আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় রাকেশ বেদী অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ জামালির চরিত্রে। এতে সারা অর্জুন তাঁর মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
সিনেমায় সারার অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনই সিনেমা মুক্তির আগে একটি মুহূর্তকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভাইরাল ভিডিও প্রকাশ্যে আবার পর সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হয়, অনুষ্ঠানের মঞ্চে রাকেশ বেদী নাকি সারার কাঁধে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে চুম্বন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৭১ বছর বয়সি অভিনেতা বলেন, এই অভিযোগকারীরা ‘স্টুপিড’ এবং বিষয়টি সম্পূর্ণ বিকৃতভাবে দেখা হচ্ছে।
রাকেশ বেদী স্পষ্ট ভাষায় জানান, সারা অর্জুনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সম্পূর্ণ পারিবারিক ও সম্মানজনক-পর্দায় যেমন, বাস্তব জীবনেও তেমনই।
তিনি বলেন, “সারা আমার অর্ধেক বয়সেরও কম এবং ছবিতে সে আমার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে। শুটিংয়ের সময় যখনই দেখা হতো, ঠিক বাবার সঙ্গে মেয়ের মতোই আমাকে জড়িয়ে ধরত। আমাদের মধ্যে খুব সুন্দর বোঝাপড়া ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যা পর্দাতেও ধরা পড়েছে। সেদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি।”
মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘একজন বয়স্ক মানুষের স্নেহকে যদি কেউ অন্যভাবে দেখে, তাহলে সেটা তাদের মানসিকতার সমস্যা। আমি সেখানে আর কী করতে পারি।’
বিতর্কের যুক্তিকে সম্পূর্ণ অবান্তর বলে উল্লেখ করে রাকেশ বেদী বলেন, ‘অনুষ্ঠানে সারার বাবা-মাও উপস্থিত ছিলেন। বলা যায়, তারা মঞ্চের সামনেই ছিলেন। সেই সময় প্রকাশ্যে আমি কেন খারাপ উদ্দেশ্যে এমন কিছু করব! মানুষ অকারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্যু বানাচ্ছে।
এদিকে সব বিতর্কের মাঝেও বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য পাচ্ছে ‘ধুরন্ধর’। ছবিটি ইতিমধ্যেই ভারতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা নেট আয় অতিক্রম করেছে।
‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর সিং, সঞ্জয় দত্ত, রাকেশ বেদী, অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন, সৌম্যা টন্ডন, ড্যানিশ পান্ডোর ও সারা অর্জুন।
আরপি/এসএন