প্রতারণা মামলায় টয়োটা বাংলাদেশের এমডিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পিবিআইয়ের

টয়োটা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রেমিত সিংসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নাভানার ব্যাবসায়িক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করতে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত শেষে সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।



এই মামলার অপর আসামিরা হলেন— টয়োটা টুশো এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আকিও ওগাওয়া এবং টয়োটা টুশো করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার আসিফ রহমান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে তিন আসামির বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, এবং অভিন্ন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নাভানার ব্যাবসায়িক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

অভিযুক্তরা গ্রাহকদের অর্ডার করা যানবাহনের উৎপাদন ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করেন। পাশাপাশি কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের জন্য বাধ্যতামূলক ‘ম্যানুফ্যাকচারার ইনভয়েস’ সরবরাহ না করে নাভানার স্বাভাবিক আমদানি ও সরবরাহ প্রক্রিয়া ব্যাহত করা হয়। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে নাভানা লিমিটেড আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়। একই সঙ্গে কাস্টমস সংক্রান্ত জটিলতা ও জরিমানার ঝুঁকিতে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে চলতি বছরের ৯ জুলাই নাভানা লিমিটেডের পক্ষে শফিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশে জাপানি গাড়ির প্রতিষ্ঠান টয়োটা টুশো করপোরেশনের ব্যাবসায়িক পার্টনার নাভানা লিমিটেড। নাভানা দীর্ঘদিন ধরে টয়োটা টুশো করপোরেশনের সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য টয়োটা ব্র্যান্ডের একক ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

তবে অভিযুক্তরা এই একক ডিস্ট্রিবিউটরশিপ ব্যবস্থা দুর্বল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে নাভানা লিমিটেডের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও পক্ষপাতদুষ্ট বাজার পরিস্থিতি ও কর্মদক্ষতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

এর মাধ্যমে নাভানার সঙ্গে টয়োটার ব্যাবসায়িক সক্ষমতা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।

এসকে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিতে পরিবারের আবেদন Dec 23, 2025
যে কারণে ছেলের হাতে প্রতিদিন মার খান মা Dec 23, 2025
img
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নয়, ভোটার নিয়োগ হয় : সালাহউদ্দিন আম্মার Dec 23, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের দিকে আসা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ Dec 23, 2025
img
বিপিএলে সিলেটের শিরোপা জয়ে আত্মবিশ্বাসী এবাদত Dec 23, 2025
img
চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন ১০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী Dec 23, 2025
img
মুদির দোকান থেকেও সাফল্য সম্ভব: প্রতীক সেন Dec 23, 2025
img
হাদির ঘটনায় ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে Dec 23, 2025
img
অসুস্থ এমপি প্রার্থী, সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকায় Dec 23, 2025
img
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আনা হবে: অর্থ উপদেষ্টা Dec 23, 2025
img
নোয়াখালীতে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৫ Dec 23, 2025
img
ডিসেম্বরের ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ২৪২ কোটি ডলার Dec 23, 2025
তারেক রহমানকে দেখতে মঞ্চের পাশে রাত দিন কাটাচ্ছে যে পরিবার! Dec 23, 2025
img
দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে জয় পেল না কেউ Dec 23, 2025
img
এই জন্মে গানই শেষ ঠিকানা, অভিনয় ছাড়ার বিষয়ে জোজোর মন্তব্য Dec 23, 2025
img
ফলাফল নিয়ে চিন্তা না করে ভালো ক্রিকেট খেলাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অঙ্কন Dec 23, 2025
img
শেরপুরে বিপুল মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার Dec 23, 2025
img
ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের Dec 23, 2025
img
ময়মনসিংহে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ১১ Dec 23, 2025
img
২০২৫ মাতিয়েছে ঢালিউড: যেসব সিনেমা দর্শক হৃদয় জয় করেছে Dec 23, 2025