যুক্তরাষ্ট্র ভারতে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (জিএম) সয়াবিন ও ভুট্টা বিক্রি করতে আগ্রহী হলেও দেশটির কৃষকরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। চলমান ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় এই দুটি কৃষিপণ্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে। খবর আলজাজিরার।
মধ্য ভারতের মধ্যপ্রদেশের সয়াবিন চাষি মহেশ প্যাটেল জানান, অতিবৃষ্টির কারণে এবারের মৌসুমে তার সয়াবিন উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন হেক্টরের বেশি জমি থাকা সত্ত্বেও উৎপাদন নেমে এসেছে মাত্র ৯ হাজার কেজিতে, যা স্বাভাবিক উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ। একই সময়ে অতিবৃষ্টির ফলে ভুট্টার বাম্পার ফলন হলেও বাজারদর পড়ে গেছে।
এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় কৃষিবাজারে প্রবেশাধিকার চাইছে। ওয়াশিংটনের দাবি, ভারতকে জিএম সয়াবিন ও ভুট্টার জন্য বাজার খুলতে হবে। জিএম প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভিদের ডিএনএ পরিবর্তন করে উৎপাদন বাড়ানো হয়।
বিশ্বে সয়াবিন উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। আগে চীন ছিল তাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তবে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে চীনে রপ্তানি কমে যাওয়ায় নতুন বাজার খুঁজছে ওয়াশিংটন।
জিন ক্যাম্পেইন নামের কৃষকবান্ধব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সুমন সাহাই বলেন, চীনের বাজার হারানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সয়াবিন ও ভুট্টা বিক্রি করা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে জরুরি হয়ে উঠেছে। তার মতে, এই কারণেই ভারতীয় বাজারে প্রবেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়ছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কৃষিবাজার খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রভাব ভারতীয় কৃষকদের ওপর পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরপি/এসএন