শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশ দুটি একে-অপরের ওপর হামলা চালায়।
থাইল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্ত প্রদেশ সিসাকেত এবং সুরিনে সংঘর্ষ হয়েছে। থাই মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, কম্বোডিয়া প্রথমে বিএম-২১ রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এর জবাব দিতে কামান, ট্যাংক ও ড্রোন দিয়ে পাল্টা হামলা চালিয়েছে থাই সেনারা।
এরমধ্যে সিসাকেত প্রদেশে এক থাই সেনা আহত হয়েছেন। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা কম্বোডিয়ার ১৯টি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
কম্বোডিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, স্কুল শিক্ষার্থীরা পালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের হামলার কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। এতে করে তারা হুড়োহুড়ি করে স্কুল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বুধবার পাক্কাদ-পাইলিন সীমান্ত ক্রসিংয়ে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৈঠকে বসেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত ৭ ডিসেম্বর থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছেন এবং কয়েক লাখ মানুষ বাড়িঘর থেকে পালিয়ে বাস্তুহারা হয়ে গেছেন।
আসিয়ান দেশগুলো এ আলোচনায় পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় রয়েছে। তবে আজ তারা কোনো ধরনের ব্রেকথ্রু আশা করছে না।
আলজাজিরার সাংবাদিক আসাদ বেঈগ কম্বোডিয়ার রাজধানী থেকে জানিয়েছেন, আজকের বৈঠক হচ্ছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে। এতে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নিচ্ছেন না। ফলে আজ কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসবে না।
তবে এ বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া ঠিক করতে পারে।
সূত্র: আলজাজিরা
এসকে/টিএ