নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বিশেষ দলের অনুগত হওয়ার প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ফেনীতে এ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।
হাসনাত বলেন, যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অধিকাংশই পরবর্তীতে কে বা তারা ক্ষমতায় আসতে পারে যে বা যারা ক্ষমতায় আসতে পারে এই ক্ষমতামুখী দলগুলোর পা চাটার জন্য এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবার গুলশান-পল্টনে লাইন দেয়া শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন এবং পুলিশকে অবশ্যই বাংলাদেশপন্থি হতে হবে। আপনারা জুলাই সহকর্মীদের নিদারুণ পরিণতির কথা ভুলে যাইয়েন না। আপনারা বাংলাদেশপন্থি থাকুন। আপনারা কোনো দলের হইয়েন না। আপনারা বিএনপিরও না, জামাতেরও না। আপনারা হচ্ছেন বাংলাদেশের। সুতরাং প্রশাসন এবং পুলিশকে বলবো আপনারা নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখুন। বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা করে এনসিপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, চাঁদাবাজি করে বাস ভাড়া করে মানুষকে প্রোগ্রামে নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু সেই জায়গায় সারা বাংলাদেশ থেকে জনসমুদ্রের মতো মানুষ এসে হাদি ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিয়েছে। তখন তারা সেটাকে ধরে নেয় যে চাঁদাবাজের টাকায় হয়তো এই জনসমাবেশ করা হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়ে হাসনাত আরও বলেন, আমরা দেখেছি হাদি ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পরে এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। হাদি ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, যারা অর্থদাতা, যারা বিদেশে বসে সেটির পরিকল্পনা করেছে, তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু কিছু জেলায় কিছু কিছু জায়গায় এসপি এবং ওসিরা বিএনপির পা চাটতে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রার্থীদের সুনজরে পড়ার জন্য তারা ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। যারা এই কাজটা করবেন, আপনাদের পরিণতি বেনজীরের মতো হবে। ওসি প্রদীপের মতো হবে। আপনারা যারা নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার চিন্তা করছেন, নির্বাচন যদি কোনো কারণে ম্যানিপুলেট করা হয়, তরুণ প্রজন্ম বসে থাকবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হচ্ছে।
কিছু রাজনৈতিক দল ও নেতার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, দুইটা সিটের বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করে দিলেন। আমাদের দীর্ঘদিনের রাজপথে থাকা আমাদের অনেক সহকর্মী, আমাদের কাছাকাছি বয়সের ভাইয়েরা আছেন। আপনারা গণ আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে আপনারা দুইটা তিনটা সিটের বিনিময়ে নিজের মার্কা বিলুপ্ত করে দিয়ে অন্য একটা রাজনৈতিক দলের কাছে চলে যাচ্ছেন। এর থেকে দুঃখজনক আর কিছুই হইতে পারে না।আমরা চেয়েছিলাম এটা ব্যালট বিপ্লব, কিন্তু দেখতে পাচ্ছি কিছু রাজনৈতিক দল একটা বুলেট বিপ্লবের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইউটি/টিএ