বাংলাদেশে হিংসা আর অস্থিরতার খবর কলকাতাতেও আলোড়ন তুলেছে। সেই আবহেই শান্তি ও সহাবস্থানের বার্তা দিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতায় বসে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি তাঁকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে, তবে হতাশার মধ্যেও তিনি আঁকড়ে ধরেছেন আশার আলো।
শুভশ্রীর কথায়, ইতিহাস যেন বারবার ফিরে আসে। পাঁচশো বছর আগের বাংলাও জাতি-ধর্মের বিভাজনে উত্তাল ছিল। সেই সময় চৈতন্যদেব যে কথা বলেছিলেন, আজও তা সমান প্রাসঙ্গিক— যুদ্ধ কখনও শান্তি আনে না, হিংসা কোনও পথ দেখাতে পারে না। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সেই বাণীকেই আবার সামনে আনলেন অভিনেত্রী। তাঁর বিশ্বাস, অন্ধকার সময় পার হতে হলে ভালবাসা আর মানবিকতাকেই অস্ত্র করতে হবে।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ভাঙচুরের ঘটনায় আরও ব্যথিত শুভশ্রী। তিনি জানান, এমন ঘটনার কথা শুনে তিনি এতটাই বিস্মিত যে ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন। সংস্কৃতি, গান, শিল্প এগুলিই তো মানুষের মনকে আলোর পথে টানে। সেখানে আঘাত আসা মানে মানবিকতার উপর আঘাত। সেই যন্ত্রণা থেকেই তিনি আরও জোর দিয়ে শান্তির কথা বলছেন।
সবকিছুর পরেও শুভশ্রী আশাবাদী। তাঁর ইচ্ছে, আগামী পৃথিবী হোক যুদ্ধহীন, হিংসামুক্ত। মানুষ মানুষকে ভালবাসুক, সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিক একে অপরের দিকে। বছরের শেষে ঈশ্বরের কাছে তাঁর একটাই প্রার্থনা হিংসা আর দ্বেষের শব্দ যেন ধীরে ধীরে মুছে যায়।
এর মধ্যেই বড়দিনে মুক্তি পাচ্ছে শুভশ্রীর ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। বিশেষ প্রদর্শনী না থাকলেও অনুরাগীদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। উত্তর কলকাতার বিনোদিনী প্রেক্ষাগৃহ ও দক্ষিণ কলকাতার নবীনা প্রেক্ষাগৃহের সামনে শুভশ্রীর কাটআউট সাজানো হয়েছে। ছবিমুক্তির দিন ফুল, কেক আর আনন্দে ভরে উঠবে সেই মুহূর্ত।
এমকে/টিএ