অভিমান ভেঙে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের অনুশীলনে ফিরলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। অনুশীলন বয়কটের ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হওয়া রাগের বহিঃপ্রকাশ, বলছেন দলটির প্রধান কোচ।

ঘটনার ব্যাখ্যায় খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এমনটা হয়েছে। একজন লোক দলের সঙ্গে থাকার কথা না, অথচ সে খারাপ ব্যবহার করেছে। সে কারণেই হিট অব দ্য মোমেন্টে রাগ করে চলে গিয়েছিলাম।’
সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সমস্যার সমাধান হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে নোয়াখালীর প্রধান কোচ বলেছেন, ‘যা হয়েছে, সবই ভুল বোঝাবুঝি। টুর্নামেন্টের আগে এটা হয়ে যাওয়াই ভালো হয়েছে। মালিকপক্ষ আমাদের ভালো সাপোর্ট দিচ্ছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে বৃহস্পতিবার অনুশীলনে নেমেছিল নোয়াখালী। ওই সময় হঠাৎ ক্ষুব্ধ হয়ে হঠাৎ মাঠ থেকে বের হয়ে যান খালেদ মাহমুদ।
এ সময় কোথায় যাচ্ছেন তিনি-এমন প্রশ্ন করতেই ক্ষুব্ধ সুজন বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই বিপিএল করবো না।অনেক কোচ আছে তারা নিতে পারবে।’
এমনকি বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচের দায়িত্বে থাকতে চান না বলেও জানান তিনি।
সুজন রেগে মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ সময় সুজনের সঙ্গে সিএনজিতে করে মাঠ ছাড়েন সহকারী কোচ তালহা জুবায়েরও।
পরে জানা যায়, অনুশীলন করার জন্য মালিকপক্ষ থেকে পর্যাপ্ত বল সরবরাহ করা হয়নি। এই নিয়ে একজন কর্মকর্তার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন সুজন।
এসকে/এসএন