সবকিছু অর্জনের পরেও ২০২২ বিশ্বকাপের আগে একটা অপূর্ণতা থেকেই গিয়েছিল লিওনেল মেসির মনে। বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের নামের পাশে সোনালি ট্রফিটা যে জ্বল জ্বল করছে না। ২০১৪ বিশ্বকাপে খুব কাছে গিয়েও শেষ মুহূর্তের গোলে জার্মানির কাছে হৃদয়ভঙ্গ।
কাতার বিশ্বকাপে সেই অপূর্ণতা ঘোচান মেসি।
২০২২ বিশ্বকাপ জিতে আজন্ম স্বপ্ন পূরণ করেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ফুটবল থেকে এখন খুদে জাদুকরের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। তবে আরেক জনের রয়েছে। খেলাটির আরেক কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর।
বিশ্বকাপ ছাড়া মেসির মতো সবকিছু অর্জন করেছেন রোনালদোও। এবার আরাধ্য ট্রফি জয়ের শেষ সুযোগ তার। বয়স তো আর কম হলো না। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে যখন মাঠে নামবে তখন নামের পাশে বয়সটা লেখা হবে ৪১।
মেসির মতোই তাই ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে এসে ২০২৬ বিশ্বকাপ জিতুক পর্তুগালের অধিনায়ক এমনটাই চান ফ্রাঙ্ক লেবোফ।
গোল ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন ইচ্ছার কথাই প্রকাশ করেছেন লেবোফ। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স সেন্টার ব্যাক বলেছেন, ‘এটা মনে হয়েছিল ২০২২ বিশ্বকাপ মেসিকে উৎসর্গ করা হয়েছে। আমি সত্যি আশা করছি যে ২০২৬ বিশ্বকাপ রোনালদোকে উৎসর্গ করা হবে। পর্তুগালের হয়ে তার বিশ্বকাপ পাওয়াটা দারুণ কিছু হবে। পর্তুগাল অসাধারণ এক দল তাই এটা সম্ভব।’
সেরার প্রশ্নে বিশ্বকাপ ট্রফি পার্থক্য গড়ে দেয় বলে মনে করেন রোনালদো। ৫৭ বছর বয়সী সাবেক মার্শেই ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘সে মিথ্যা বলেনি। সে (রোনালদো) যা অর্জন করেছে তা অসাধারণ। রোনালদো-মেসির সব শিরোপার মধ্যে ব্যালন ডি’অরে দুজনের দারুণ এক প্রতিযোগিতা ছিল। এমন হয়ে ওঠে আপনি কাকে পছন্দ করেন? একটি ধ্রুবক প্রশ্ন হয়ে ওঠে -মেসিকে নাকি রোনালদোকে বেশি পছন্দ করেন? এক দশকেরও বেশি সময় এই লড়াই ছিল।
বিশ্বকাপ ট্রফির গুরুত্ব বোঝাতে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন লেবোফ। তিনি বলেছেন, ‘‘তারা ইতিমধ্যেই বড় শিরোপা জিতেছে। তবে এটা সত্য একটি বিশ্বকাপ জয় পার্থক্য তৈরি করে। অনেক সময় রোনালদোর সমালোচনা করায় তার ভক্তদের কাছ থেকে দুয়ো শুনেছি। কেউ কেউ বলেছেন, ‘জীবনে তুমি কী অর্জন করেছ?’ আমি বলি, ‘বিশ্বকাপ জিতেছি, সে পারেনি।’ এটি সহজ উত্তর! অবশ্যই সে (রোনালদো) আমার চেয়ে ভালো করেছে। দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড়ও। তবে বিশ্বকাপ জয় পার্থক্য তৈরি করে।’’
টিজে/টিকে