কুয়াশা আর মেঘলা আকাশকে উপেক্ষা করে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। টানা কয়েকদিনের সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির সুযোগে পরিবার-পরিজন নিয়ে হাজারো ভ্রমণপিপাসু সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে এসেছেন। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মেতে ওঠা, বালুচরে খেলা এবং স্মৃতির ফ্রেমে মুহূর্ত বন্দি করার দৃশ্য পর্যটকদের আনন্দের ছবি ফুটিয়ে তুলেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, চলতি শীত মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শুক্রবার নেমেছে ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ বছরের সর্বনিম্ন। চলমান শৈত্যপ্রবাহ আগামী ২–৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং রাত ও ভোরে শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে।
পর্যটকরা আনন্দ উপভোগ করলেও বাড়তি ভিড়ের কারণে হোটেল ভাড়া, খাবার ও যাতায়াত খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেরই ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক রমিস উদ্দিন বলেন, ‘হোটেল, খাবার ও পরিবহন খরচ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে সব মেনে নিতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বাড়তি চাপকে বাণিজ্যের সুযোগে পরিণত করছেন। হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইসের মহাব্যবস্থাপক মো. ইয়াকুব আলী জানান, ‘পর্যটকের চাপ থাকায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শত কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ নিশ্চিত করেছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি দমনে নিয়মিত তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, পর্যটকদের জন্য হেল্পলাইন ০১৩২০১৬০০০০ নম্বরে সহায়তা পাওয়া যাবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘সৈকতের পয়েন্টগুলোতে সার্বক্ষণিক তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু রয়েছে। হয়রানি বা অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
কুয়াশা ও ঠান্ডা সত্ত্বেও সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের পদচারণা কক্সবাজারকে উৎসবমুখর করে তুলেছে, যেখানে আনন্দের সঙ্গে মিলিত হয়েছে চ্যালেঞ্জও।
এমকে/টিএ