তিন বছরের মধ্যে তিনটি বিয়ে করেছেন ভারতের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, আগের স্ত্রীদের তালাক না দিয়েই একের পর এক বিয়ে করেছেন তিনি। শেষমেশ দুই স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পিন্টু বর্ণনাল নামের ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের গোপালগঞ্জ জেলায়।
তবে গ্রেপ্তারের পর নিজের সাফাইতে অদ্ভুত এক যুক্তি দিয়েছেন পিন্টু। তার দাবি, আগের স্ত্রীরা তার বৃদ্ধ মায়ের সেবা করতেন না, এমনকি রান্নাও করতেন না। তাই বাধ্য হয়েই তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন।
পিন্টু বর্ণনাল পুলিশের কাছে দাবি করেন, আমার মা অসুস্থ এবং বৃদ্ধ। কিন্তু আগের স্ত্রীরা দুই দিন ধরেও কোনো রান্নাবান্নাই করত না। উল্টো আমাকেই তাদের খাওয়াতে হতো। বাড়িতে মাকে দেখার মতো কেউ ছিল না, তাই আমি বাধ্য হয়ে আবার বিয়ে করেছি। তিনি যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।
পিন্টুর দাবির উল্টো চিত্র তুলে ধরেছেন তার স্ত্রীরা। প্রথম স্ত্রী খুশবু কুমারী জানান, ২০২২ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার বাবা নগদ ৩ লাখ টাকা ও গয়না দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর পিন্টু আরও ৫ লাখ টাকা ও একটি গাড়ির দাবিতে তাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে তিনি জানতে পারেন, তালাক না দিয়েই পিন্টু আরও দুটি বিয়ে করেছেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী গুড়িয়া কুমারী অভিযোগ করেন, পিন্টু তাকে বিয়ের কথা গোপন রেখে ধোঁকা দিয়েছেন। তিনিও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, পিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রীর ১০ মাস বয়সী এবং তৃতীয় স্ত্রীর ১ মাস বয়সী সন্তান রয়েছে।
পুলিশি ব্যবস্থা প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আদালতে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কেএন/টিএ