‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে একই পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশব্যাক করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালের দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে ওই ১৪ জন ভারতীয় নাগরিক দর্শনা সীমান্তে প্রবেশের পর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন। পরে তারা দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিলে স্থানীয়রা তাদের কথাবার্তা শুনে সাময়িকভাবে খোলা স্থানে তাঁবু টাঙিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। একইসঙ্গে স্থানীয়রা তাদের খাবার ও শীতবস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যায় পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে অনুপ্রবেশকারী ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করে বিজিবি নিজেদের হেফাজতে নেয়। তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে।
অনুপ্রবেশকারীরা জানান, তারা ভারতের ওড়িশা প্রদেশের জগৎসিংহপুরের বাসিন্দা। মুসলিম পরিবার হওয়ার কারণে তাদের জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘আমরা জন্মসূত্রে ভারতের ওড়িশা প্রদেশের জগেশ্বরপুরের বাসিন্দা। আমার বাবা ছোটবেলায় দাদার সঙ্গে ভারতে চলে যান এবং সেখানেই বড় হন। আমাদের জন্মস্থান ভারতেই, আমরা ভারতীয় নাগরিক। আমাদের আধার কার্ড ও রেশন কার্ডও আছে। কিন্তু ভারতীয় পুলিশ জোরপূর্বক সেগুলো কেড়ে নিয়েছে। আমরা সবাই মুসলিম।’
পুশব্যাক করা ১৪ জন সদস্য একই পরিবারের। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৪ জন শিশু। তারা হলেন: গুলশান বিবি (৯০), শেখ জব্বার (৭০), আলকুম বিবি (৬৫), শেখ উকিল (৪০), [নাম অস্পষ্ট] বিবি (৩৫), শাকিলা খাতুন (১১), শেখ হাকিম (৪৫), সামসেরি বিবি (৪০), শেখ রাজা (৩০), মেহেরুন বিবি (২৫), নাসরিন পারভিন (১২), শেখ তৌহিদ (১১), শেখ রহিদ (০২) ও শেখ বান্টি (২৮)।
কেএন/টিএ