হাসপাতালে নেতাকর্মীদের অহেতুক ভিড় না করতে অনুরোধ তারেক রহমানের

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে ভালো কিছু পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের অহেতুক হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার সময় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ হাসপাতালে এসেছিলেন।

তিনি হাসপাতালে আগত রোগীরা যাতে চিকিৎসা সঠিকভাবে নিতে পারে, সেজন্য উনি অত্যন্ত কনসার্ন শো করেছেন। সেজন্য দলীয় নেতাকর্মীকে উনি নির্দেশ দিয়েছেন এবং অনুরোধ করেছেন যাতে এই হসপিটালে চিকিৎসার জন্য যেসব রোগীরা আছেন, তাদের এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসাতেও যাতে ব্যাঘাত না হয়, সেজন্য সবাই যাতে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করে। কোনো ধরনের অতিউৎসাহী কার্যক্রমের সঙ্গে নেতাকর্মীদের জড়িত না হওয়ার জন্য বলেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা এখানে চলছে, সেখানে চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে, দেশের এবং বিদেশের চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন।

উনার সুস্থতার জন্য আমরা মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে যেমন সাহায্য ও রহমত চাই। সেই সঙ্গে আমরা দেশবাসীর কাছেও দেশনেত্রীর সুস্থতার জন্য, উনার পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দোয়া চাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর এখানে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি হওয়ার পরবর্তীতে উনার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছিল।

এ কারণেই উনি কেবিন থেকে সিসিইউ, সেখানে থেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই উনার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এ কথা বলা যাবে না। উনি অত্যন্ত জটিল এবং একটা সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে উনি যদি এই সংকটটা উতরিয়ে যেতে পারেন, আলহামদুলিল্লাহ তাহলে হয়ত আমরা ভালো কিছু পাব।

এর আগে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান হাসপাতালে যান। সেখানে তারা মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাত ১২টার দিকে তারা বাসায় ফিরে যান।

পিএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নতুন প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণ আজ Dec 28, 2025
img
৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান Dec 28, 2025
img
টুর্নামেন্ট খেলার আগে ভালো করে প্রস্তুতি নিয়েছি: শান্ত Dec 28, 2025
img
হাদি হত্যায় জড়িতদের নাম উন্মোচন করে দেব : ডিএমপি কমিশনার Dec 28, 2025
img
খালেদা জিয়া অত্যন্ত সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন : ডা. জাহিদ Dec 28, 2025
img
ঢাকাসহ ৮ বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক ইনকিলাব মঞ্চের Dec 28, 2025
img
আজকের মতো স্থগিত ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচি Dec 28, 2025
img
হাসপাতালে নেতাকর্মীদের অহেতুক ভিড় না করতে অনুরোধ তারেক রহমানের Dec 28, 2025
img
তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি, সেই শহিদুলের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি বিএনপির Dec 28, 2025
img
আপনার জীবন সম্পূর্ণ আপনারই দায়িত্ব: বোমান ইরানি Dec 28, 2025
img
আমি প্রমাণ করেছি, অসম্ভব বলে কিছু হয় না: নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী Dec 28, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীনই হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে : রিজওয়ানা Dec 28, 2025
img
হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিতে প্রয়োজনে শাহবাগে এক মাস থাকার ঘোষণা Dec 28, 2025
img
অভ্যর্থনা, রাস্তাজুড়ে মানুষ, দোয়া মুহূর্তগুলো কোনোদিন ভুলতে পারব না : তারেক রহমান Dec 28, 2025
img
কনসার্টে তারাকে জাপটে ধরে চুমু গায়ক এপি ধিলনের, বিরক্ত বীর Dec 27, 2025
img
অবশেষে ময়মনসিংহ-১০ আসনে ধানের শীষের কান্ডারি বাচ্চু Dec 27, 2025
img
বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে শান্তর প্রতিক্রিয়া Dec 27, 2025
img
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে যুদ্ধবিরতি কার্যকর Dec 27, 2025
img
‘বারাণসী’ হতে পারে রাজামৌলির শেষ সিনেমা! Dec 27, 2025
img
মিরপুরে সাধারণ কবরস্থানের নিরাপত্তায় ৮১২ এলইডি লাইট স্থাপন ডিএনসিসির Dec 27, 2025