বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত ২২ জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল চীন সফর করে। প্রতিনিধি দলটি বেইজিং গ্রেট হলে সিপিসির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন।
চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং, সিপিসির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব। সে সময়ে তারেক রহমানকে চীন সফরের জন্য সিপিসির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
চীন সফরে যাওয়া বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তারেক রহমানের আমন্ত্রণে ভবিষ্যৎ কূটনীতি, অর্থনীতি ও ভূরাজনীতি হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, সফরটি শুধু কৌশলগতই নয়, পাশাপাশি বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছে চীন।
কারণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে চীন তার ভূরাজনৈতিক, কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক গাঢ় করেছিল। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুতির পর বিএনপি ও জামায়াত ছাড়াও আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, চীন কোথাও নিজেকে জড়ালে বেশ ভালো করেই জড়ায়। যেমন মিয়ানমারের রাখাইনে সকল সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার। উদ্দেশ্য হচ্ছে যারাই ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকুক না কেন, চীনের যোগাযোগ ও স্বার্থ যাতে অক্ষুন্ন থাকে। একইভাবে ৫ আগস্টের পর দেশটি সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যাতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেনো, তাদের স্বার্থ যাতে অক্ষুন্ন থাকে।
পিএ/টিএ