বর্তমানে তিনি জাতীয় পেশাজীবী ঐক্য (এনপিএ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।
নিজের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মীর হাসিব মাহমুদ জানান, আদর্শিক রাজনীতির প্রত্যাশা নিয়েই আমি এনসিপিতে যুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়েছে, সেই আদর্শ বাস্তবায়নের সুযোগ সেখানে আর নেই। তাই বিবেকের তাগিদেই এনসিপির সকল কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
তিনি বলেন, এনসিপি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হতে পারতো, নতুন ধারার রাজনীতিতে দিকনির্দেশনা দিতে পারতো। কিন্তু জোট রাজনীতির পথে হাঁটতে গিয়ে তারা নিজেদের জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা থেকে সরে এসেছে।’
চান্দিনার স্থানীয় রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা জানান, মীর হাসিব মাহমুদ ছিলেন এই আসনের একজন শক্ত অবস্থানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। তরুণ সমাজ, শিক্ষিত ভোটার এবং সচেতন নাগরিকদের বড় একটি অংশ তার নেতৃত্বে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছিলেন।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, তার সরে দাঁড়ানোর খবরে অনেকের মধ্যেই হতাশা ও শূন্যতার অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তারা মনে করছেন, চান্দিনায় পরিচ্ছন্ন ও যুক্তিনির্ভর রাজনীতির যে সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল, তা সাময়িকভাবে হলেও থমকে গেছে।
তবে স্থানীয়দের একটি অংশের বিশ্বাস, আদর্শিক অবস্থান স্পষ্ট করে নেয়ার এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে তাকে আরও পরিণত ও দৃঢ় রাজনৈতিক নেতৃত্বে রূপ দেবে। ফলে তার রাজনৈতিক যাত্রা এখানেই শেষ—এমনটা মনে করছেন না তারা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা–৭ আসনে এই ঘটনাটি রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, মীর হাসিব মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও তরুণ নেতৃত্ব গঠনে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছেন।
ইউটি/টিএ