ইন্দোনেশিয়ার বিনামূল্যে স্কুলে খাবার বিতরণ কর্মসূচি এপ্রিলের মধ্যে আট কোটি উপকারভোগীর কাছে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছেল। তবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এটি আরো পিছিয়ে পড়ছে বলে সোমবার খাদ্য খাত তদারকির দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী জানিয়েছেন।
সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে ২০২৬ সালের খাদ্য মজুদ নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জানুয়ারির শুরুর দিকেই কর্মসূচিটি প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি উপকারভোগীর কাছে পৌঁছনোর কথা।
২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ানতোর প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এই প্রকল্প-যার লক্ষ্য ছিল প্রায় সাড়ে আট কোটি স্কুলশিক্ষার্থী ও গর্ভবতী নারীর কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া।
তবে উচ্চ ব্যয় এবং ক্রমবর্ধমান খাদ্য নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এটি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।
জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার পর থেকে সারা দেশে ১১ হাজারের বেশি শিশু খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে কর্মসূচিটি তদারককারী সংস্থার তথ্য জানিয়েছে।
প্রাবোও শুরুতে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ পুরো কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্য স্থির করেছিলেন। তবে রান্নাঘরের ঘাটতির কারণে অক্টোবর মাসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে প্রায় সাত কোটিতে আনা হয়।
জুলকিফলি কেন আবারও লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা দেননি।
মূল লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ বছর কর্মসূচির জন্য ১৭১ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ (১০.১৯ বিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ রেখেছে ইন্দোনেশিয়া এবং ২০২৬ সালের জন্য এই বরাদ্দ দ্বিগুণ করে ৩৩৫ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ নির্ধারণ করা হয়েছে।
পিএ/এসএন