ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বিএনপির এক বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীসহ মোট ১১ জন প্রার্থী আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে এসব প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে স্ব স্ব মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সূত্র জানায়, সোমবার যাঁরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তারা প্রার্থীরা হলেন- অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান (বিএনপি), কাজী নাজমুল হোসেন তাপস (বিএনপির বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র), মো. শাহীন খান (সিপিবি), মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), নাহিদা জাহান (গণ সংহতি আন্দোলন), আবদুল বাতেন (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী), মুফতী আমজাদ হোসাইন (খেলাফতে মজলিস), মুছা সিরাজী (স্বতন্ত্র), নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া (গণফ্রন্ট) মো. আশরাফুল হক (ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ) এবং নজরুল ইসলাম নজু (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান রাতে দেশের একটি গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মনোনয়ন দাখিলকারীদের তিনজন জেলায় এবং বাকী আটজন নবীনগরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী, এ আসনের সাবেক চারবারের এমপি মরহুম কাজী আনোয়ার হেসেনের ছেলে জেলা বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী নাজমুল হোসেন তাপস মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে দেশের একটি গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচণ্ড চাপে পড়ে অনেকটা নিরূপায় হয়ে আমাকে এ আসনে শেষ পর্যন্ত ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হচ্ছে। এর আগে নবীনগরবাসী আমার প্রয়াত বাবাকেও এমপি হিসেবে চারবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছিলেন। আমার বিশ্বাস, এবার তারা আমাকেও নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাবেন।’
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল যদি আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়, এরপরও নির্বাচন করবেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তরুণ এই বিএনপি নেতা কাজী তাপস সরাসরি এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আমি বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী একজন একনিষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মী। সারা জীবন এ দলের একজন কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। সুতরাং আমার বিশ্বাস, শহীদ জিয়ার আদর্শে দীক্ষিত এমন প্রকৃত আদর্শিক কোনো রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে বিএনপি কখনো অবিচার করবে না।