লিউডের একটি যুগের অবসান ঘটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। শেষ ছবির মুক্তি দেখে যেতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই বিদায় নিতে হয়েছে তাঁকে। মুম্বইয়ে ‘ইক্কিস’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরা, কিন্তু সেখানে ছিলেন না ধর্মেন্দ্র। তাঁর অনুপস্থিতিতে উপস্থিত ছিলেন দুই পুত্র সানি দেওল ও ববি দেওল।
ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর পর হেমা মালিনীর সঙ্গে অভিনেতার প্রথম পক্ষের পরিবারের দূরত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ‘ইক্কিস’ ছবির পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন প্রকাশ্যে এনেছেন ধর্মেন্দ্রের হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা দীর্ঘদিনের বেদনার কথা।
পরিচালক জানান, ধর্মেন্দ্র কখনও সংলাপ নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতেন না। চরিত্রের পোশাক পরেই যেন তিনি সেই মানুষটিতে রূপ নিতেন। পঞ্জাব ছাড়ার যন্ত্রণা তাঁর হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে ছিল, যা তিনি কোনও দিন ভুলতে পারেননি। বিশেষ করে ‘ইক্কিস’ ছবিতে পঞ্জাবের প্রসঙ্গ থাকায় সেই আবেগ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।
কবিতার প্রতি ছিল ধর্মেন্দ্রের গভীর ভালোবাসা। সংলাপের ফাঁকে নিজের লেখা বা পছন্দের পঙক্তি যোগ করতেন তিনি, যা ছবিতেও রেখে দিয়েছেন নির্মাতা। শ্রীরাম রাঘবন জানান, ধর্মেন্দ্রের মধ্যে কখনও তাড়াহুড়ো দেখেননি তিনি ছিল এক ধরনের নীরব গভীরতা, যা তাঁকে আলাদা করে চিনিয়ে দিত।
অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে লুধিয়ানা থেকে মুম্বইয়ে এসে যে সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র, সেই স্মৃতি আর পঞ্জাব ছাড়ার বেদনা নিয়েই শেষ পর্যন্ত বিদায় নিলেন বলিউডের ‘হি-ম্যান’।
এমকে/টিএ