ছর শেষের আনন্দে যখন গোটা দুনিয়া মেতে, তখন অন্যরকম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দেব। সামনে তাঁর কেরিয়ারের ৫০তম ছবি। সেই ছবিকে শুধুই আরেকটি বাণিজ্যিক সিনেমা হিসেবে নয়, বরং জীবনের অন্যতম স্মরণীয় কাজ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন অভিনেতা-প্রযোজক। সেই লক্ষ্যেই বেছে নিয়েছেন একেবারে বাস্তবের নায়ককে ঘিরে গল্প উত্তরবঙ্গের ‘অ্যাম্বুলেন্স দাদা’ করিমুল হক।
জলপাইগুড়ির সাধারণ মানুষ করিমুল হক নিজের বাইককে অ্যাম্বুল্যান্সে বদলে বিনামূল্যে অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। বছরের পর বছর নিঃশব্দে এই সেবাকাজ চালিয়ে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘দেবতা’। সেই মানুষের জীবনই এবার বড়পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন দেব।
এর আগে এই চরিত্রে নওয়াজউদ্দীন সিদ্দিকী, আমির খান থেকে সোনু সুদের নাম ঘুরেছে। হিন্দিতে ছবি তৈরির পরিকল্পনাও হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গল্পের স্বত্ব কিনে নিয়ে দেবই ঠিক করেন, এই কাহিনি বাংলাতেই বলা হবে। তাঁর মতে, করিমুলের জীবন শুধু সিনেমার গল্প নয়, সমাজের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা।
ইতিমধ্যেই দেব করিমুলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তাঁর গ্রাম, কাজের জায়গা, জীবনের প্রতিটি অধ্যায় কাছ থেকে দেখার প্রস্তুতি চলছে। চিত্রনাট্য নতুন করে সাজানো হচ্ছে, যাতে দুই ঘণ্টার ছবিতে একটি বিশাল জীবনের সারবত্তা ধরা পড়ে। নিজের চরিত্রে ঢোকার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন দেব।
সব ঠিক থাকলে আগামী বছর শুটিং শুরু হবে। ছবির বড় অংশের দৃশ্যায়ন হবে উত্তরবঙ্গে। দেবের লক্ষ্য স্পষ্ট ৫০তম ছবি যেন শুধু তাঁর কেরিয়ারের মাইলফলক না হয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানো এক নীরব যোদ্ধার গল্প হয়ে ওঠে।
এমকে/টিএ