খোসাসহ শসা খেলে মিলবে যেসব উপকার

কম বেশি প্রায় সবারই বেশ পছন্দের এক ফল শসা। কিন্তু শসা খাওয়ার সময় আমরা বড় একটা ভুল করে ফেলি। আসলে আমাদের মধ্যে অধিকাংশই খোসা ছাড়িয়ে শসা খাই। আর এটাই নাকি বিরাট বড় ভুল বলে দাবি করছেন একদল বিশেষজ্ঞ।

তাদের কথায়, শসার খোসায় রয়েছে একাধিক উপকারী ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই খোসা শুদ্ধ শসা খেলে যে একাধিক ছোট-বড় অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যাবে তা বলাই বাহুল্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।

খোসাসহ শসা খাওয়ার একাধিক গুণ —

১. চোখ ভালো রাখবে: চোখের সুস্থতার জন্য খোসাসহ শসা খাওয়া বেশ উপকারী। কারণ শসার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। আর এই উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ভিটামিন এ-তে পরিণত হয় যা কিনা চোখের সুস্থতায় বেশ কাজের। তাই দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে চাইলে এবং চোখের বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই নিয়মিত খোসা শুদ্ধ শসা খেতে পারেন।

​২. কমবে ওজনের: ওজন বেশি থাকাটা কোনো কাজের কথা নয়। কারণ ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকলে ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরলসহ একাধিক জটিল অসুখে আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই সবাই ওজন কমাতে স্বাভাবিক রাখতে চান। আর এজন্য বেশ সাহায্য করতে পারে শসা। আসলে শসা এবং শসার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর এই ফাইবার ওজন কমানোর কাজে ব্যাপক সহযোগী।

৩. কমবে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ​: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে গোড়া থেকে উৎপাটন করতে চাইলে নিয়মিত খোসা শুদ্ধ শসা খান। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইনসলিউবল ফাইবার। আর এই ফাইবার কিন্তু অন্ত্রে জমে থাকা মলকে বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করবে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীরা প্রতিদিন খোসা শুদ্ধ একটা গোটা শসা খান।

​৪. সুগার কমাতেও কার্যকরী: ডায়াবেটিস একটি ঘাতক অসুখ। এই রোগটিকে ঠিক সময়ে বশে না আনতে পারলে কিডনি, হার্ট, চোখ এবং স্নায়ুসহ একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। তাই বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই সুগারের কাঁটাকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেন। আর ভালো খবর হল, এই কাজে সাহায্য করতে পারে শসার খোসা। আসলে শসার খোসায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী। তাই রক্তে শকর্রার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে খোসা শুদ্ধ শসা খান।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে জাপানে পৌঁছলেন ট্রাম্প Oct 27, 2025
img
৪৮তম বিসিএসে নিয়োগপ্রত্যাশী চিকিৎসকদের সড়ক অবরোধ Oct 27, 2025
img
ভারত সফরের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দল ঘোষণা Oct 27, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়নি : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 27, 2025
img
সাবেক যুগ্ম সচিব কিবরিয়া মজুমদারের পাঁচ ব্যাংক হিসাব জব্দ Oct 27, 2025
img
’বিতর্কিত উপদেষ্টা’ নিয়ে জামায়াত-এনসিপির এত মিল কেন? প্রশ্ন জাহেদ উর রহমানের Oct 27, 2025
img
ইয়ামালের হাতে যাচ্ছে পিকে-শাকিরার পুরনো প্রাসাদ Oct 27, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া হবে : জামায়াত আমির Oct 27, 2025
img
ড্যাফোডিলের হামলায় সিটি ইউনিভার্সিটিতে ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে : ভিসি লুৎফর রহমান Oct 27, 2025
img
শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব : সারজিস আলম Oct 27, 2025
img
উত্তরা ইপিজেডের ৪ কারখানা বন্ধ ঘোষণা Oct 27, 2025
img
সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের আসামিদের দেশত্যাগ রোধে হিলি চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা Oct 27, 2025
img
ডাকসুর পদবি ব্যবহার করে শিক্ষকদের ওপর মবতন্ত্র প্রয়োগ করা অনাকাঙ্ক্ষিত : নাছির Oct 27, 2025
img
মাহফুজ তার বক্তব্যে প্রমাণ করেছেন, তিনি ওই পদের যোগ্য নন : মাসুদ কামাল Oct 27, 2025
img
না ফেরার দেশে ছাতকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আলী ইনসান Oct 27, 2025
img
নেতানিয়াহু সরকার থাকা অবস্থায় সে দেশে কনসার্ট করবে না 'রেডিওহেড' Oct 27, 2025
img
এমআরআই পরীক্ষা করেছেন ট্রাম্প, সবকিছু ঠিক আছে দাবি Oct 27, 2025
img
পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায় ঢাকা Oct 27, 2025
img
বিয়ে ছাড়াই ভালো আছি: ইশা সাহা Oct 27, 2025
img
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 27, 2025