একটানা বসে কোমরে ব্যথা? যে ৫ উপায়ে আরাম পাবেন সহজেই

একটানা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থেকে কোমরে ব্যথা হচ্ছে। আবার অনেকেরই শরীর মুড়ে, পা বুকের কাছে রেখে ঘুমোনোর অভ্যাস। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর তারাও অনেক সময় কোমরে ব্যথা অনুভব করেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়সজনিত কারণ ছাড়াও এমন নানা কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে।

তবে ব্যথার ওষুধ বা ইঞ্জেকশন ছাড়াও জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তবে এই কোমরের ব্যথা যদি দু’তিন দিনের মধ্যে না কমে, সে ক্ষেত্রে তা অন্য কোনও রোগের লক্ষণ হলেও হতে পারে।

১) নিয়মিত শরীরচর্চা : কোমরের যন্ত্রণা শুরু হলে সেই সময় নড়াচড়া করাই মুশকিল হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, একটু কষ্ট করে যদি সাধারণ কয়েকটি যোগাসন, স্ট্রেচ করা যায়, আরাম মিলবে। ব্যথা কমলে সাঁতার বা এরোবিক্সও করা যেতে পারে। তবে এক দিনেই ফল মিলবে এমনটা আশা করা যায় না। নিয়মিত করলে উপকার পাওয়া যাবে।

২) ঠান্ডা, গরম সেঁক : চোট বা আঘাত লেগে যদি কোমরে ব্যথা হয়, সে ক্ষেত্রে বরফের ঠান্ডা সেঁক দিয়ে থাকেন অনেকে। যা রক্ত জমাট বাঁধা, প্রদাহের মতো সমস্যায় আরাম দেয়। অন্য দিকে গরম সেঁক রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৩) মন ভালো রাখা : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথার সঙ্গে মানসিক চাপ বা অবসাদের যোগ রয়েছে। তাই সবার আগে মনের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কোমরে ব্যথা নিয়ে আসা ১০ জনের মধ্যে ৩ জনের কোমরে ব্যথার কারণ হল অবসাদ।

৪) পর্যাপ্ত ঘুম : ঘুমের সঙ্গে শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কার্যকলাপ জড়িয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম কম হলে কোমরের ব্যথা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। শরীরের বিভিন্ন পেশি, স্নায়ু সারা দিন কাজ করার পর এই সময়েই শিথিল হয়ে পড়ে। পরের দিনের জন্য রসদ সংগ্রহ করে ঘুমের মধ্যেই। তাই সুস্থ থাকতে গেলে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি।

৫) দেহের ভঙ্গি বদল : সারা দিন হাড়ভাঙা খাটনির পর বিছানায় পিঠ দেয়া মাত্রই কী ভাবে শুয়ে আছেন, সে খেয়াল থাকে না অনেকের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শোয়ার ভুলেও অনেক সময়ে কোমরের উপর চাপ পড়ে। তাই সঠিক ভাবে শোয়ার অভ্যাস করতে হবে। একই ভাবে টেবিল-চেয়ারে বসার সময়েও মেরুদণ্ড সোজা করে বসার চেষ্টা করতে হবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আসিয়ান-ভারত সম্পর্ক জোরদারে নতুন অঙ্গীকার Oct 27, 2025
img

কুষ্টিয়ায় ছয় হত্যা

হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ Oct 27, 2025
img

রামপুরায় ২৮ হত্যা

বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শুনানি ২৪ নভেম্বর Oct 27, 2025
img
শীতের আগেই ত্বক খসখসে হয়ে যাচ্ছে? কিভাবে যত্ন নেবেন Oct 27, 2025
img
চাকরি ছাড়লেন টাইগারদের ফিটনেস ট্রেনার নাথান কেলি Oct 27, 2025
img
৩ দিন পরই বাতিল হয়ে যাবে ১০ টির বেশি সিম Oct 27, 2025
img
জিয়াউল আহসানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল Oct 27, 2025
img
মৃত্যুর দুই ঘণ্টা আগে সুস্থতার বার্তা দিয়েছিলেন অভিনেতা সতীশ শাহ Oct 27, 2025
img

শামীম হায়দার

আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে দেশের ইতিহাসে নিকৃষ্টতম নির্বাচন হবে Oct 27, 2025
img
ফাঁস করা প্রশ্নে চাকরি পেয়ে যোগ দেন চক্রে Oct 27, 2025
img
তারেক রহমান জনগণের বন্ধু: রশিদুজ্জামান মিল্লাত Oct 27, 2025
img
বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান Oct 27, 2025
img
দীর্ঘস্থায়ী জ্বালানি সংকটে মালিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা Oct 27, 2025
img
প্রথমবারের মতো মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক! Oct 27, 2025
img
আ. লীগ নেতা আটক, এলাকায় মিষ্টি বিতরণ Oct 27, 2025
img
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল অন্তত ৩ জনের Oct 27, 2025
img
অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন পেট কামিন্স! Oct 27, 2025
img
দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত Oct 27, 2025
img
ভেনেজুয়েলার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ, বাড়ছে উত্তেজনা Oct 27, 2025
img
দ্বিদলীয় ভাগাভাগির মাধ্যমে ইসি তার সকল নিরপেক্ষতা হারিয়েছে: সামান্তা শারমিন Oct 27, 2025