রোজ লবঙ্গ খেলে যেসব রোগের ঝুঁকি কমে

ঠান্ডা লাগবে বলে বৃষ্টিতে ভিজতে ভয় পান না অনেকেই। তবে ভিজে গিয়ে যদি একটু গলা খুসখুস করে তার ওষুধও রয়েছে রান্না ঘরেই। দু-চারটে লবঙ্গ মুখে পুরে দিলেই তা পালাবে। লবঙ্গের গুণেই জব্দ হয় নানা শারীরিক সমস্যা। লবঙ্গে উপকারী উপাদানের অভাব নেই।

ঠান্ডা লাগার সমস্যা ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে যদি লবঙ্গের ব্যবহার করা হয়, তবে সুস্থ থাকা নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করতে হবে না। নিয়ম করে লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাসে কী কী সুফল পাওয়া যায় তা জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে।

১. লবঙ্গের একটি অন্যতম উপাদান হল নাইজেরিসিন। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই উপাদানের জন্যই রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছনো, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং ইনসুলিন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ানোর মতো কাজ ভালো ভাবে হয়। সেই কারণেই প্রতিদিন যদি একটি করে লবঙ্গ খেতে পারেন, উপকার পাবেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের সমস্যায় যারা ভুগছেন, লবঙ্গ তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

২. সর্দি-কাশি, সাইনাসের ব্যথা এবং ঠান্ডা লাগা জনিত আরও অনেক সমস্যায় লবঙ্গ তেল মালিশ করেন অনেকেই। লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়া অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্যই দাঁতের ব্যথায়ও এটি খুব উপকারী। নিয়মিত লবঙ্গ দেয়া মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মাড়ি সুস্থ থাকে। ব্যাক্টেরিয়ার হাত থেকে দাঁত বাঁচায়। নিয়ম করে লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাসে দাঁতের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

৩. সংক্রমণ, অবসাদ কিংবা জিনগত কারণে পেপটিক আলসারের সমস্যা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গের এসেন্সিয়াল অয়েল ‘গ্যাসট্রিক মিউকাস’-এর উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে কাজ করে। পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় ঘরোয়া এই টোটকা।

৪. হাড় ক্ষয় এমন একটি সমস্যা, যা বয়স্কদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, লবঙ্গের উপাদান হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে।



Share this news on:

সর্বশেষ

img
২৮ অক্টোবরের ধারাবাহিকতায় দেশে সন্ত্রাসী রাজনীতির সূচনা করেছিল আ. লীগ : ডা. শফিকুর রহমান Oct 27, 2025
img
নোয়াখালীতে ১৪ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার Oct 27, 2025
img
সুন্দরবনে বনদস্যু বাহিনীর প্রধান আটক Oct 27, 2025
img
এল ক্লাসিকোর পর ইয়ামালকে খোঁচা দিয়ে বেলিংহামের পোস্ট Oct 27, 2025
img
টানা ৩ হারে বেহাল জুভেন্টাস, লাৎসিওর কাছে পরাজয় ১-০ গোলে Oct 27, 2025
img
ক্রিস্টাল প্যালেসকে ১-০ গোলে হারাল আর্সেনাল Oct 27, 2025
img
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা Oct 27, 2025
img
ইবাদত কবুলের প্রধান শর্ত হলো হালাল পথে উপার্জন : ধর্ম উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
ইসি নূন্যতম সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য পারঙ্গম নয়: সামান্তা Oct 27, 2025
img
ভবিষ্যতের নতুন রূপরেখা তুলে ধরলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট Oct 27, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত Oct 27, 2025
img
অর্থনৈতিক উন্নয়নের গ্রহণযোগ্য সমাধান ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট : মান্না Oct 27, 2025
img
কালামের শেষকথা, ‘দু-এক দিনের মধ্যেই বাড়ি আসব, ইলিশ কিনে রেখো’ Oct 27, 2025
img
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নিউইয়র্কের মুসলিমদের উদ্দেশে মামদানির আবেঘন বার্তা Oct 27, 2025
img
“একাই এসেছি, একাই যাব” - নিঃসঙ্গতার দর্শনে অনুপম রায় Oct 27, 2025
img

অমিতাভ বচ্চন

“না মানেই শেষ কথা” Oct 27, 2025
img
সাভারে ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১ Oct 27, 2025
img
জাপানে দক্ষ চালক নিয়োগে বাংলাদেশে ড্রাইভিং স্কুল স্থাপনের ঘোষণা Oct 27, 2025
img
আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ বানিয়েছে জাতীয় পার্টি: আখতার Oct 27, 2025
img
হালান্ডকে আটকে ইতিহাস গড়লো অ্যাস্টন ভিলা, এমেরির জাদুতে হতভম্ব ম্যান সিটি Oct 27, 2025