জরুরি অবস্থায় সহজে পানি বিশুদ্ধ করবেন যেভাবে

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি দেশের ১১টি জেলার মানুষ। এরই মধ্যে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়। এতে দুর্ভোগও বেড়েছে। বন্যার সময় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিলে বন্যা পরবর্তী সময়ে পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। তবে খুব সহজেই ফিটকিরি ব্যবহার করে জরুরি অবস্থায় পানি বিশুদ্ধ করা সম্ভব।

ফিটকিরি বা অ্যালুমিনিয়াম সালফেট হলো একটি যৌগ লবণ। এটি পানিতে দ্রবণীয়, যা প্রধানত পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়। হাইপারলাইট এক প্রতিবেদনে সহজে ফিটকিরি ব্যবহার করে পানি বিশুদ্ধ করার পদ্ধতি জানিয়েছে। মাত্র দুইটি ধাপ অনুসরণ করলেই বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাবে। বন্যার পানি বিশুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি একটি পাত্রে নিন। তারপর দুটি ধাপে পানিকে নিরাপদ করে তুলুন।

প্রথম ধাপ

বন্যার পানি বিশুদ্ধকরণের উপযোগী করে তোলা। এ জন্য ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন।

এক লিটার পানির জন্য এক চিমটি বা শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম ফিটকিরি পানিতে ভালোভাবে গুলিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। পানিতে থাকা ময়লা তলানিতে জমা হলে অন্য একটি পাত্রে পানি ঢেলে নিন।

ফিটকিরি বা অ্যালুমিনিয়াম সালফেট হল একটি লবণ। এটি পানিতে দ্রবণীয় যেটা প্রধানত পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়।

ফিটকিরি বা অ্যালুমিনিয়াম সালফেট হল একটি লবণ। এটি পানিতে দ্রবণীয় যেটা প্রধানত পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়।

পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য পাতলা কাপড়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪ থেকে ৮ ভাঁজ পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি ছেঁকে নিন।

এই পদ্ধতিগুলো পানির স্বচ্ছতা বাড়ায়। কিন্তু পানি নিরাপদ করতে দ্বিতীয় ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ

পানি বিশুদ্ধ বা নিরাপদ করার জন্য ফিটকিরি দেয়া বা ছেঁকে নেয়া পানি কমপক্ষে ৩ মিনিট ধরে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এই পানি পান করার জন্য নিরাপদ।

ফোটানোর উপায় না থাকলে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পানি নিরাপদ করা যায়। এক লিটার পানিতে এক চিমটি ব্লিচিং পাউডার ভালোভাবে গুলিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এই পানি পান করার জন্য নিরাপদ।

এ ছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়েও পানি নিরাপদ করা যায়। এ ট্যাবলেটগুলো প্রয়োজনমতো পানিতে মিশিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের ব্যবহারবিধি মেনে চলতে হবে। 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হাদির সমাধিস্থল নিয়ে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি বানোয়াট-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : ডিএমপি Dec 21, 2025
img
বানারীপাড়ায় কেন্দ্রীয় আ. লীগ নেতা ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার Dec 21, 2025
img
শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন জকসুর শিবির প্যানেল Dec 21, 2025
img
টেস্টের ইতিহাসে প্রথমবার দুই ইনিংসেই জোড়া সেঞ্চুরির রেকর্ড Dec 21, 2025
img
অ্যাভাটারে গান গেয়ে মাইলি সাইরাসের হাতে উঠছে আন্তর্জাতিক সম্মাননা Dec 21, 2025
img
৩ বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি Dec 21, 2025
img
৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা সময় গোলহীন ভিনিসিয়ুস Dec 21, 2025
img
সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে ৩ ডিগ্রি, বাড়বে শীতের তীব্রতা Dec 21, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৯ জনের টটেনহ্যামকে ২-১ গোলে হারাল লিভারপুল Dec 21, 2025
img
ছায়ানটে হামলার ঘটনায় সাড়ে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা Dec 21, 2025
img
ফের ইরানে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল Dec 21, 2025
img
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পুতিন Dec 21, 2025
img
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে আদি মহাবিশ্বের দানবীয় নক্ষত্রের সন্ধান Dec 21, 2025
img
আজ ২১ ডিসেম্বর: নাটোর হানাদার মুক্ত দিবস Dec 21, 2025
img
আজ শেষ হচ্ছে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ Dec 21, 2025
img

টিএফআই সেলে গুম ও রামপুরায় ২৮ হত্যা

১২ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির Dec 21, 2025
img
ভিসা জটিলতায় কর্মীদের সতর্ক করল প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ও অ্যাপল Dec 21, 2025
img
জুলাই আন্দোলন মামলার নথি চুরির ঘটনায় নতুন মামলা Dec 21, 2025
যে দুটি জিনিস অনেকেই জানে না | ইসলামিক জ্ঞান Dec 21, 2025
হাদির কবরস্থান জিয়ারত করে যা জানালেন জামায়াতের আমীর Dec 21, 2025