খারাপ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায়

যেকোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হতে পারে, এমনকি তা জটিল হলেও। আপনি যে ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছেন তার নানাভাবে সংযুক্ত থাকাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে একে অন্যের রুটিনের অংশ হয়ে যায়। কিন্তু যখন সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে ওঠে, পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তখন সেখান থেকে বের হতে হয় নিজেকে বাঁচানোর প্রয়োজনেই। এ ধরনের পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে মানসিক ক্ষেত্রেও। তাই এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক খারাপ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায়-

১. দূরত্ব বজায় রাখুন

যদি আপনার পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়, তাহলে এমন অবস্থানে চলে যান যেখানে নিজেকে কিছুটা সময় দিতে পারবেন সবকিছু বিবেচনা করার। বিরক্তিকর মানুষটির সঙ্গে আপাতত দূরত্ব তৈরি করা এবং তাকে কল বা টেক্সট করা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এতে নিজেকে সময় দিতে পারবেন। নয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকবে।

২. ভুল করবেন না

অপরপক্ষের মানুষটির সম্পর্কে ভুল ভাবনা বন্ধ করুন। তাকে কি আপনি সত্যিই আপনার জীবনে রাখতে চান? নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন। আপনাকে আপনার অনুভূতির মূল্যায়ন করতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ সম্পর্কে নিজেকে বোঝাতে হবে। একবার নিজের অনুভূতি স্বীকার করলে, পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে।

৩. লিমিট রাখুন

আপনার সব সময় এমন সীমানা তৈরি করা উচিত যা অপরপক্ষ কখনোই অতিক্রম করবে না। প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে এমন পরিস্থিতিতে যেখানে আঘাতের সম্ভাবনা বেশি। সীমানা নির্ধারণ করলে তা আপনাকে যেকোনো বিপত্তি থেকে সহজেই পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বাদ দিন

আপনি যদি এখনও তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি বা স্ন্যাপ দেখে থাকেন তবে আপনি কখনোই তাকে অতিক্রম করতে পারবেন না। একবার আপনি আপনার মন তৈরি করে নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করুন এবং দূরত্ব তৈরি করা শুরু করুন। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাকে বাদ দেওয়া। এটি একটি স্পষ্ট চিহ্ন যে আপনি আর আগ্রহী নন এবং যোগাযোগ করতে চান না।

৫. আপনার সিদ্ধান্তে লেগে থাকুন

কোনো সম্পর্ক ছেড়ে গেলেও সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করা ছোট ছোট জিনিস বা মুহূর্তগুলি মনে রাখা স্বাভাবিক। তার সম্পর্কে চিন্তা করা স্বাভাবিক, তবে তাদের কাছে ফিরে যাওয়া নয়। আপনার সিদ্ধান্তে লেগে থাকুন এবং দুর্বল মুহূর্তে তার কাছে পৌঁছাবেন না।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হাঙ্গেরিতে শিগগিরই হচ্ছে না ট্রাম্প ও পুতিন বৈঠক Oct 22, 2025
img
আবারও বলিউডে অভিষেক পিছিয়ে গেল অভিনেত্রী কৃতি শেট্টির Oct 22, 2025
সেনা কর্মকর্তাদের কালকের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির না করলে আত্মসমর্পণের বিজ্ঞপ্তি: প্রসিকিউশন Oct 22, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Oct 22, 2025
নির্বাচন নিরপেক্ষ রাখতে যা দরকার, সবই করা হবে: বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা Oct 22, 2025
অভিবাসী শ্রমিকদের স্বাধীনতা ও সুরক্ষায় বিপ্লব Oct 22, 2025
সুপার ওভারে ম্যাচ হার, স্টেডিয়ামের বাইরে ‘সাকিব সাকিব’ স্লোগানে উত্তাল Oct 22, 2025
তোমরাই আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর উদাহরণ : নুসরাত ফারিয়া Oct 22, 2025
“গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক!”—বিতর্কের জবাবে মুখ খুললেন তানজিন তিশা Oct 22, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

লেভারকুজেনকে ৭-২ গোলে বিধ্বস্ত করল পিএসজি Oct 22, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

১৩ মিনিটে ৪ গোলের ঝড়ে আতলেতিকোকে উড়িয়ে দিল আর্সেনাল Oct 22, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

হলান্ডের রেকর্ড, ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়ে সহজ জয় ম্যানচেস্টার সিটির Oct 22, 2025
img
বায়ার্ন মিউনিখে নতুন চুক্তিতে ভিনসেন্ট কোম্পানি Oct 22, 2025
img
এক ম্যাচেই ৭ রেকর্ড! বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে রোমাঞ্চ Oct 22, 2025
img
মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট Oct 22, 2025
img
রহস্যের নাম ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড’! ভারতের হারে বাড়ছে নিয়ম ঘিরে বিতর্ক Oct 22, 2025
img
পাক হামলাতেই প্রাণ গেল ৩ আফগান ক্রিকেটারের, প্রমাণ থাকার দাবি ক্রিকেট বোর্ডের Oct 22, 2025
img
অ্যাডিলেডেও কোহলিকে থামাতে পরিকল্পনা প্রস্তুত, আগেভাগেই জানাল অস্ট্রেলিয়া Oct 22, 2025
img
রোনালদো ভারত সফরে না আসা নিয়ে মুখ খুললেন আল নাসরের কোচ Oct 22, 2025
img
আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জামায়াতের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল Oct 22, 2025