দুই খাতে ৭ হাজার কোটি টাকা দেবে এডিবি

বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি মার্কিন ডলার পলিসি বেজড ঋণ (নীতি-ভিত্তিক ঋণ) অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ৪৬ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। এ টাকা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও শাসনব্যবস্থা জোরদারে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবহার করতে পারবে।

এ ঋণের আওতায় ব্যবসায়ী পরিবেশ সৃষ্টি এবং অপারেশন সহজতর করার জন্য, একটি অনলাইন সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে যেখানে ১৩০টিরও বেশি পরিষেবা গ্রহণ করা যাবে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স টিম লিডার গোবিন্দ বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্র-সংস্কার এবং স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিতে, দেশের রাজস্ব আদায় বাড়ানো,, সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা, বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের একটি প্যাকেজ রয়েছে। ওই প্যাকেজ এ ঋণে বাস্তবায়িত হবে। দেশের মালিকানাধীন উদ্যোগ এবং স্বচ্ছতা এবং সুশাসনের প্রচারে এ ঋণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

সংস্কার প্রসঙ্গে পরিষ্কার করেন এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, এডিবির পলিসি-ভিত্তিক ঋণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরবর্তী সময়ে ত্বরিতভাবে উন্নয়নমূলক আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। এই সংস্কারগুলোতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও শাসনব্যবস্থার উন্নতি, পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ ও প্রতিযোগিতার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

এডিবির এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান আমিনুর রহমান।

ঋণ কর্মসূচির মধ্যে ডিজিটালাইজেশন এবং ‘সবুজ’ উদ্যোগ, কর প্রণোদনা ও ছাড়ের যৌক্তিককরণ এবং কর মনোবল বাড়াতে করদাতাদের সহায়তা করার ব্যবস্থা রয়েছে।

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা উন্নত করা এ ঋণের আরেকটি উদ্দেশ্য। এ ঋণ দেশের ‘নিয়ন্ত্রক পরিবেশকে’ সহজ করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি সবার জন্য ‘সমান সুবিধা’ দিয়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে জাকসুর ভোটগ্রহণ Sep 11, 2025
img
৩ দশকের লুটের বিচার ও নতুন সংবিধান চায় নেপালের তরুণরা Sep 11, 2025
img
গুলশান থেকে আটক স্বাস্থ্যখাতে ‘দুর্নীতির হোতা’ মিঠু Sep 11, 2025
img
রামপুরা হত্যাকান্ড : অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি শুরু Sep 11, 2025
img
রাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিলের দিন আজ Sep 11, 2025
img
'হিজাব স্লোগান' নিয়ে বিতর্কে মুখ খুললেন ডাকসুর জিএস ফরহাদ Sep 11, 2025
img
জাকসুতে ছাত্রদল ও শিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ Sep 11, 2025
img
রিংকুর ডান হাতের চেয়ে বাঁ হাতের ওজন কম, খোলাসা করল নিজেই Sep 11, 2025
img
ডাকসু জয়ে শিবিরের কৌশল নিয়ে মুখ খুললেন রাশেদ খান Sep 11, 2025
img
বাগেরহাটে হরতালে সব ধরনের দূরপাল্লার বাস বন্ধ Sep 11, 2025
img
বিদেশি লিগ খেলতে বিসিবির কাছে অনাপত্তিপত্র চেয়েছেন তাইজুল-মুস্তাফিজ Sep 11, 2025
img
একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই অতিরিক্ত ব্যালট ছাপিয়েছে : ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী Sep 11, 2025
img
বছরখানেক পর রাজা চার্লসের সঙ্গে হ্যারির সাক্ষাৎ Sep 11, 2025
img
আমি কিন্তু আধা বাঙালি। বাংলা স্পষ্ট বলতে পারি : দিয়া মির্জা Sep 11, 2025
img
ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন ২১০ কোটি টাকা Sep 11, 2025
img
জামায়াত মুক্তিযোদ্ধা হলেও সমর্থন করতাম না : জাহেদ উর রহমান Sep 11, 2025
img
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পর নেপাল নিয়েও দুশ্চিন্তায় ভারত! Sep 11, 2025
img
জাকসু নির্বাচনে ভোট দিলেন শিবির সমর্থিত জিএস পদপ্রার্থী Sep 11, 2025
img
ক্ষমতাচ্যুত ওলি সেনানিবাসে, তরুণ প্রজন্মকে পাঠালেন বার্তা Sep 11, 2025
img
জাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভুলের অভিযোগ Sep 11, 2025