ডলার ও রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে : গভর্নর

ডলার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, রিজার্ভের পতন কিছুটা হলেও থামানো গেছে। আইএমএফের কাছ থেকে এক টাকাও আসেনি। কিন্তু রেমিট্যান্স ২৪ শতাংশ বেড়েছে, এ মাসে ৩০ শতাংশ ছাড়াবে। জুন শেষে রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ছাড়াবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সেমিনার অন বাংলাদেশ ম্যাক্রোইকোনোমিক ল্যান্ডস্কেপ : চ্যালেঞ্জেস ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অ্যান্ড দ্য পাথ এহেড’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ডলার এখন বিক্রি হচ্ছে না। ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে ডলারের দরের ব্যবধান নেই বললেই চলে। ডলার অর্থপাচার ঠেকানো গেছে।

রেমিট্যান্সের দর ম্যানিপুলেশন হচ্ছে না দাবি করে গভর্নর বলেন, দুবাইয়ে একটা গ্রুপ ডলার ম্যানিপুলেশন করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা এতে প্রভাবিত হইনি।

তিনি আরও বলেন, আমানতের প্রবৃদ্ধি কমার কারণে প্রাইভেট সেক্টর ক্রেডিট গ্রোথ কমেছে। পলিসি রেট বাড়ার কারণেই যে কমেছে সেটা নয়। সরকারের ঋণ ১২ শতাংশ ছিল সেটা কমে ৯ শতাংশ হয়েছে। এখন ব্যাংকগুলোকে প্রাইভেট সেক্টরে ঋণ দিতে হবে। শুয়ে শুয়ে প্রফিট করার দিন শেষ হয়ে আসছে। ঋণ দিয়ে প্রফিট করতে হবে।

এলডিসি গ্রাজুয়েশনের বয়ান পরিবর্তনের কথা বলেন গভর্নর। তিনি বলেন, আমাদের সমগোষ্ঠী কোনো দেশ এখন আর এলডিসিতে নাই। বাংলাদেশ ২০২১ সালেই এলডিসি যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের দেশের শিল্প খাতের চাপে এলডিসি উত্তরণের সময় বাড়িয়ে ২০২৬ সালে নিয়ে আসি। গ্রাজুয়েশনের অনেক ভালো দিক আছে। দরিদ্র হয়ে থাকার মধ্যে কোনো সম্মান নেই। আমরা কেন মধ্য আয়ের দেশ হতে পারব না! আমরা তো মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে আছি। কেন আমরা ট্যারিফের সুবিধার জন্য নিম্নআয়ের দেশ হয়ে থাকব।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনিয়োগ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাত হলো, ব্যাংক ও রাজস্ব খাত। তবে এনবিআরের কার্যকর সংস্কার না হলে ব্যাংক খাত এগোবে না।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ইআরএফ এর সহ-সাধারণ সম্পাদক মানিক মুনতাসির।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘আমি আগেও বলেছি, সম্ভবত আর কোনো বিশ্বকাপ খেলব না’ Sep 05, 2025
img
অনশন ভাঙাতে না পেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিসির রাতযাপন! Sep 05, 2025
img
ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছড়াচ্ছে প্রতারক চক্র : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর Sep 05, 2025
img
'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ৩' এর নতুন মুখ শানায়া কাপুর Sep 05, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ জিল্লুর রহমানের! Sep 05, 2025
img
বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরর মুভি নিয়ে আসছে আহান শেঠি Sep 05, 2025
img
ইউরোপকে অবশ্যই রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে: ট্রাম্প Sep 05, 2025
img
প্রথমবার একসঙ্গে সিনেমায় জিৎ-টোটা Sep 05, 2025
img
বরুণ-জাহ্নবীর হুক স্টেপ ভাইরাল, সাড়া ফেলেছে বিজুরিয়ার রিমেক Sep 05, 2025
img
সীমানা পুনর্বিন্যাসের দাবিতে ভাঙ্গায় মহাসড়ক অবরোধ Sep 05, 2025
img
অবসর ভেঙে সামোয়ার হয়ে মাঠে ফিরছেন রস টেইলর Sep 05, 2025
img
চীনের যুদ্ধবিমান ও আমেরিকার বোয়িংয়ের ফাঁদে দেশ : রনি Sep 05, 2025
img
প্রার্থিতা প্রত্যাহারে চাপ পাচ্ছেন বুলবুল, নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি Sep 05, 2025
img
চবির ঘটনায় প্রশাসনের মামলায় আরও ১ জন গ্রেপ্তার Sep 05, 2025
img
প্রাক্তন প্রেমিকার কাছে ফিরছেন অভিষেক কুমার! Sep 05, 2025
img
আব্দুল কাদেরের পাশে থাকার আশ্বাস ছাত্রদল সভাপতির Sep 05, 2025
img
ফখর-আবরারের নৈপুণ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তান Sep 05, 2025
img
হাসনাতকে উপহার পাঠানোর কারণ জানালেন রুমিন ফারহানা Sep 05, 2025
img
নভেম্বরে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা! Sep 05, 2025
img
মিষ্টি হাসিতে মুগ্ধতা ছড়ালেন নায়িকা মিম Sep 05, 2025