শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় অস্থির ফলের বাজার, কী হবে রমজানে?

ফল কি বিলাসী পণ্যে পরিণত হচ্ছে? ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক বাড়ানোর ফলে অনেকটাই দামি পণ্যে পরিণত হয়েছে ফল। কমলা, আপেল, আঙ্গুরের দাম বৃদ্ধিতে দেশি জাতের ফলের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। কিন্তু সেখানেও স্বস্তি নেই। এমন পরিস্থতিতে, ফল আমদানিতে আরোপিত শুল্ক-কর কমানোর পক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এদিকে, শুল্ককর কমাতে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে সেখানে সীমিত আয়ের মানুষের আনাগোনা বেশ কম। ৯ জানুয়ারিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে বাজারে, যা এখন দৃশ্যমান। অপরদিকে, দোকানীরা জানিয়েছেন তাদেরও কমেছে বেচা-বিক্রি।

এবার রমজানের আগেই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙ্গুরের বাজার বেশ চড়া। কেউ কেউ দেশি ফালের দোকানে ঢু মাড়ছেন। কিন্তু সেখানেও স্বস্তি নেই।

ফল কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, হাজার টাকাতেও দু’টির বেশি ফলের আইটেম কেনা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলের বাজারে সিন্ডিকেটের অভিযোগ শোনা যায় আরেক ক্রেতার মুখে।

মাসের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে আমদানি করা ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে যা ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

পাইকারি ও খুচরা দোকানিরা ফলের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দায়ী করেন কাস্টমস বিল বেড়ে যাওয়াকেই। এক বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে নাশপাতি কেজিতে সাড়ে তিনশো টাকা বিক্রি করলেও, চলতি সপ্তাহে সেটি তাদের কিনতে হচ্ছে পাঁচশো টাকা কেজি দরে।

ফল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনা করছেন, নীতি নির্ধারকদের সাথে। কিন্তু বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি।
ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, রমজানকে সামনে রেখে বন্দর বন্ধ রাখা যাবে না, এতে ফলের বাজারে অস্থিতিশীলতা বেড়ে যাবে। আলোচনা চলছে কাস্টমস ডিউটি কীভাবে কমানো যায়।

ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে, বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারের পক্ষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, ফলের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে আনমাদিকৃত ফলের ব্যাপারে ডিউটি মূল্য কমানো উচিত। যারা এটির নির্দেশনায় আছেন তাদের প্রতি এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান। রোজায় ফলের চাহিদা বাড়ে কয়েকগুন। এর আগেই ফলের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে, এমনটাই মনে করেন ক্রেতা-বিক্রেতাসহ পরিবহন খাতে নিয়োজিত সবাই।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘আমি আগেও বলেছি, সম্ভবত আর কোনো বিশ্বকাপ খেলব না’ Sep 05, 2025
img
অনশন ভাঙাতে না পেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিসির রাতযাপন! Sep 05, 2025
img
ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছড়াচ্ছে প্রতারক চক্র : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর Sep 05, 2025
img
'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ৩' এর নতুন মুখ শানায়া কাপুর Sep 05, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ জিল্লুর রহমানের! Sep 05, 2025
img
বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরর মুভি নিয়ে আসছে আহান শেঠি Sep 05, 2025
img
ইউরোপকে অবশ্যই রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে: ট্রাম্প Sep 05, 2025
img
প্রথমবার একসঙ্গে সিনেমায় জিৎ-টোটা Sep 05, 2025
img
বরুণ-জাহ্নবীর হুক স্টেপ ভাইরাল, সাড়া ফেলেছে বিজুরিয়ার রিমেক Sep 05, 2025
img
সীমানা পুনর্বিন্যাসের দাবিতে ভাঙ্গায় মহাসড়ক অবরোধ Sep 05, 2025
img
অবসর ভেঙে সামোয়ার হয়ে মাঠে ফিরছেন রস টেইলর Sep 05, 2025
img
চীনের যুদ্ধবিমান ও আমেরিকার বোয়িংয়ের ফাঁদে দেশ : রনি Sep 05, 2025
img
প্রার্থিতা প্রত্যাহারে চাপ পাচ্ছেন বুলবুল, নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি Sep 05, 2025
img
চবির ঘটনায় প্রশাসনের মামলায় আরও ১ জন গ্রেপ্তার Sep 05, 2025
img
প্রাক্তন প্রেমিকার কাছে ফিরছেন অভিষেক কুমার! Sep 05, 2025
img
আব্দুল কাদেরের পাশে থাকার আশ্বাস ছাত্রদল সভাপতির Sep 05, 2025
img
ফখর-আবরারের নৈপুণ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তান Sep 05, 2025
img
হাসনাতকে উপহার পাঠানোর কারণ জানালেন রুমিন ফারহানা Sep 05, 2025
img
নভেম্বরে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা! Sep 05, 2025
img
মিষ্টি হাসিতে মুগ্ধতা ছড়ালেন নায়িকা মিম Sep 05, 2025