কখন হাঁটলে দ্রুত ওজন কমবে?


শারীরিক সুস্থতা ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিনের হাঁটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হাঁটার ফলে স্ট্যামিনা বৃদ্ধি পায়, মানসিক চাপ কমে, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটা স্মৃতিশক্তি, শেখার ক্ষমতা, একাগ্রতা ও সৃজনশীলতাও বাড়াতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি শুধু ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, বরং পেশির শক্তিও বাড়ায় ও ঘুমের মান উন্নত করে। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য সঠিক সময় ও পদ্ধতিতে হাঁটা গুরুত্বপূর্ণ। সকালে খালি পেটে হাঁটা বেশি কার্যকরী হতে পারে, তবে খাওয়ার পর হালকা হাঁটাও উপকারী হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট ধরে নিয়মিত হাঁটা সুস্বাস্থ্য ও ভালো ঘুমের জন্য উপকারী। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে এবং পেশির শক্তি বাড়াতেও কার্যকরী।
যারা বেশি জোরে শারীরিক কার্যকলাপ বা ব্যায়াম করতে পারেন না, তারাও নিজেকে সুস্থ রাখতে হাঁটতে পারেন। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য অথবা যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যায়াম করেননি তাদের জন্য ভালো বিকল্প এই হাঁটা।

হাঁটার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় কোনটি
কেউ বলেন সকালে হাঁটা ভালো। আবার কেউ বলেন সন্ধ্যাবেলা হাঁটা বেশি উপযোগী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই সময়ে হাঁটারই বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। দৈনন্দিন কাজের ওপর নির্ভর করে আপনার জন্য কখন হাঁটা ভালো।

সকালের হাঁটার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে দ্রুত হাঁটা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ক্যালরি যেমন দ্রুত পোড়ে, তেমনই বিপাক হার বৃদ্ধি করে।

সন্ধ্যায় হাঁটার সুবিধা
সারাদিনের কাজের পর, সন্ধ্যায় হাঁটা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। হজমশক্তি উন্নত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে আপনার শরীর বেশি শক্তি খরচ করে, যা আপনাকে আরো ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে। সেই সঙ্গে উন্নত হয় ঘুমের মানও।
হাঁটার অভ্যাস না থাকলে ২০ মিনিট হাঁটার পর ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। নিশ্চিত করুন যে আপনার পা গোড়ালি থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত মাটি ছুঁয়েছে। আরামদায়ক সুতির মোজা ও হালকা জুতা পরুন। হাঁটার আগে ও পরে পানি পান করুন।

যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে প্রতিদিন ৩০ মিনিটের বেশি সময় শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। মনে রাখবেন হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। ছোট দূরত্বের জন্য পরিবহন পরিবর্তে হেঁটে যাওয়া বেছে নিতে পারেন। উপকার আপনারই হবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নেতানিয়াহুর দেশের সাথে সম্পর্ক গড়বে সৌদি, আশা ট্রাম্পের Oct 18, 2025
img
ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলই চিনতাম না: জয়া আহসান Oct 18, 2025
img
জাকেরকে নিয়ে করা মন্তব্যে বাংলাদেশ কোচের বিরক্তি প্রকাশ Oct 18, 2025
img
চুল কাটতে গিয়ে কক্সবাজারের যুবলীগ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার Oct 18, 2025
img
আমার ছেলে মেসির ফ্যান, তাই ফুটবল খেলা বেশি দেখি: শামা ওবায়েদ Oct 18, 2025
img
পাকিস্তানের হামলায় প্রাণ হারাল ৩ ক্রিকেটার, ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে না আফগানরা Oct 18, 2025
img
ফোনালাপে নেতানিয়াহুর ভূয়সী প্রশংসা করলেন মাচাদো Oct 18, 2025
img
রিয়াদে এক সিনেমায় শাহরুখ,সালমান ও আমির খান Oct 18, 2025
img
শাপলা প্রতীক নিয়ে মন্তব্য এনসিপি নেত্রী সামান্তার Oct 18, 2025
img
বিশ্ববাজারে সোনার দামে ফের রেকর্ড Oct 18, 2025
img
গুজরাটের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী Oct 18, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘রশিদ-হাসারাঙ্গা’ না থাকায় স্বস্তিতে বাংলাদেশ Oct 18, 2025
img
অঙ্কনের সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স! Oct 18, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে অমুসলিমরা সবচেয়ে ভালো থাকবে: রফিকুল ইসলাম খান Oct 18, 2025
img
সেনা হেফাজতে থাকা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার নিয়ে ভিন্ন তথ্য! Oct 18, 2025
img
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া Oct 18, 2025
img
ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি’তে তুরস্কের অবদান রয়ে: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 18, 2025
img
চীনে দুর্নীতির অভিযোগে সেনাবাহিনীর ৯ শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত Oct 18, 2025
img
প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, প্রতিযোগিতার রাজনীতি করুন: জুয়েল Oct 17, 2025
img
শেষ মুহূর্তে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কারো না আসাটা ডিস্টার্বের অংশ: মির্জা আব্বাস Oct 17, 2025