খাওয়ার পরে হাঁটলে যত উপকার

কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পর প্রায় সবাই কোনো কাজ করতে চায় না। রাতে খাবার শেষে অনেকেরই বিছানায় শুয়ে পড়ার ইচ্ছে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভরপেট খেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়া একেবারেই উচিত নয়। এটি মেটাবলিজমের ক্ষতি করতে পারে এবং শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে।

তাদের পরামর্শ, ডিনার শেষ করার পর অন্তত ১৫-৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত। এতে শরীরে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়, যেমন পেটের গ্যাস ও হজমের সমস্যা কমে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, এবং মনের প্রশান্তি থাকে।
মেটাবলিজম উন্নত হয়

রাতের খাবার খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি করলে মেটাবলিজম উন্নত হয়। বদহজমের সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকলে ভরপেট খাবার খাওয়ার পর হাঁটুন। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও উন্নত হবে।

এ ছাড়া খাওয়ার শেষে হাঁটলে ক্যালরি পোড়ানো সহজ হয়। ওজন কমাতে চাইলে ভরপেট খেয়ে একটু হাঁটুন। এই টোটকা ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে
সহায়তা করে।

সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে
রাতের খাবার সেরে হাঁটলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিক রোগীদের এ বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে।
ভরপেটে খাবার খাওয়া পর হাঁটাহাঁটি করলে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বাড়ে না এবং ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণও সচল থাকে।

মানসিক চাপ কমে
সারা দিনের কাজের পর মানসিক চাপ কমানো ভীষণ জরুরি। অবসাদ, উদ্বেগ কমাতে শরীরচর্চা জরুরি। রাতে শরীরচর্চা করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে হাঁটুন। হাঁটলেও মানসিক চাপ কমে। পাশাপাশি মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে রাতের ঘুম ভালো হয়। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই রাতে ৩০ মিনিট হাঁটুন।

ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
ভোরবেলা হাঁটার থেকে রাতে হাঁটা ভালো। এতে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ভোরবেলা বাতাসে দূষণ কণার মাত্রা বেশি থাকে। এর জেরে শ্বাসজনিত সমস্যা বা ভাইরাল জ্বর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
রাতে বাড়ির বাইরে, বাগানে বা মাঠে হাঁটতে পারেন। এতে ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা কমে। এ ছাড়া হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। জয়েন্টে ব্যথা-যন্ত্রণা কমে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গণমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ইআরএফ-র‌্যাকের নিন্দা Dec 20, 2025
img
হাদির মৃত্যুতে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট, আ.লীগ কর্মী আটক Dec 20, 2025
img
নারীরা প্রতিদিন ডিম খেলে কী হতে পারে? Dec 20, 2025
হাদি হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ-স্বচ্ছ তদন্ত চাইল জাতিসংঘ Dec 20, 2025
মেসির বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার ঐতিহাসিক মুহূর্তের তিন বছর Dec 20, 2025
ম্যানসিটি ছাড়ার গুঞ্জনে পেপ গার্দিওলা দিলেন স্পষ্ট ব্যাখ্যা Dec 20, 2025
img
হাদি হত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ Dec 20, 2025
img
সরে দাঁড়ানো বিএনপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা Dec 20, 2025
img
চাকরি ছাড়ছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী! Dec 20, 2025
img
দ্বিতীয়বার পুত্রসন্তানের বাবা-মা হলেন ভারতী-হর্ষ Dec 20, 2025
img
ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক Dec 20, 2025
img
নীলফামারীতে পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Dec 20, 2025
img
ধোনিকে ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস, প্রথম ট্রফি জেতালেন ইশান Dec 20, 2025
img
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের চট্টগ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ Dec 20, 2025
img
২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ নতুন করে যাচাই করা হবে : গভর্নর Dec 20, 2025
img
ভারত ম্যাচে দেরি, বাফুফেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা Dec 20, 2025
img
বিটিভির মহাপরিচালকের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ Dec 20, 2025
img
বড় অঙ্কের প্রস্তাব পেয়েও ম্যান ইউনাইটেড ছাড়েননি ব্রুনো Dec 20, 2025
img
ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচ সূচি প্রকাশ Dec 20, 2025
img
‘বাম, শাহবাগি, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’-জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি মোস্তাফিজ Dec 20, 2025