রাতে দই খাওয়া কি ঠিক?

দইয়ের স্বাদ প্রায় সকলেই পছন্দ করে। কিন্তু ভুল সময়ে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। অতএব কখন দই খাবেন এবং কখন খাবেন না, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাও মনে রাখা উচিত, খালি পেটে দই খাওয়া উচিত নয়।

এর সঙ্গে কিছু মিষ্টি, মশলাদার বা টকজাতীয় খাবার খান।দই খেতে গিয়ে আবহাওয়ার কথাও মাথায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দই খাওয়া শুধু নির্দিষ্ট ঋতুতেই উপকারী।বিশেষজ্ঞদের মতে, বসন্ত ঋতুতে এবং রাতে দই খাওয়া উচিত নয়।

এর ফলে গাঁটে ব্যথা, শরীরে ফোলাভাব এবং পাচনতন্ত্রের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। দই কখনোই একা খাওয়া উচিত নয়। এর সঙ্গে আমলকির রস, মধুজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।শরৎ ও শীতকালে দই খাওয়া খুবই উপকারী।

এই ঋতুতে দই হজম ব্যবস্থা উন্নত করে। শরীরকে পুষ্টি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সঠিক সময়ে দই খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করা হয়।

সঠিক সময়ে সঠিক উপাদানসহ দই খাওয়া হলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। মানুষ বেশি পরিমাণে ঠাণ্ডা পানীয় গ্রহণ করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।কোমল পানীয়ের পরিবর্তে দই দিয়ে তৈরি লস্যি খাওয়া বেশি উপকারী।

দই কেবল হজম শক্তি বাড়ায় না, বরং এটি শরীরে শক্তিও জোগায়। দইয়ে উপস্থিত প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং পেটের সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। সঠিক সময়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে দই খেলে শরীরের আরো বেশি উপকার হয়।

রাতে দই খাওয়া উচিত নয়, কারণ এর ঠাণ্ডা প্রভাব রয়েছে। রাতে এটি খেলে শরীরে কফ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। দিনের বেলায় এটি খাওয়া ভালো হবে এবং বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যাবে।

ঋতু ও সময় অনুসারে দই খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সঠিক সংমিশ্রণে এটি গ্রহণ করলে এটি আরো বেশি উপকারী হতে পারে। আয়ুর্বেদের মতে, দৈনন্দিন রুটিনে সঠিক পদ্ধতিতে দই অন্তর্ভুক্ত করলে স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কেবিসির হট সিটে অমিতাভের মুখোমুখি দিলজিৎ, পুরস্কারমূল্য যাবে বন্যার্তদের সেবায় Oct 15, 2025
img
‘ধুম ৪’ থেকে আচমকা বাদ পড়ল কিয়ারা Oct 15, 2025
img

জুলাই আন্দোলন

শেখ হাসিনার ফোনালাপ গোপনে রেকর্ড করে এনটিএমসি Oct 15, 2025
img
৩ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক Oct 15, 2025
img
তামিলনাড়ুতে শুধুই তামিল, হিন্দি নিষিদ্ধের পথে সরকার Oct 15, 2025
img
খালেদা জিয়া বলেছিলেন, একদিন হাসিনাকেও মানুষ উচ্ছেদ করবে: ফখরুল Oct 15, 2025
img
আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত আর দেখা হবে না: ইনু Oct 15, 2025
img
৩০ হাজার কোটির সম্পত্তির দলিলে ছেলের নাম ভুল, চাঞ্চল্য কারিশমা পরিবারে Oct 15, 2025
img
সালমানের মতো ক্রিমিনাল কেন জওয়ানে-প্রশ্ন তুললেন পরিচালক Oct 15, 2025
img
নির্বাচনের আগেই পেশিশক্তির ব্যবহার শুরু হয় গেছে: শামীম সাঈদী Oct 15, 2025
img
ব্যাট ছুড়ে শাস্তি পেলেন আফগানিস্তানের ব্যাটার Oct 15, 2025
img
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা Oct 15, 2025
img
রাতে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া Oct 15, 2025
img
অক্ষয় কুমার নেই 'সংক্রান্তিকি বস্তুনামের' হিন্দি রিমেকে Oct 15, 2025
img
শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক তবে বিশৃঙ্খলা করতে ফান্ড দিচ্ছে আ. লীগ : সেলিম ভূঁইয়া Oct 15, 2025
img
জুলাই সনদ নিয়ে বেকায়দায় ড. ইউনূস: মোস্তফা ফিরোজ Oct 15, 2025
img
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার Oct 15, 2025
img
অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ইতালি : প্রধান উপদেষ্টা Oct 15, 2025
img
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল নেপাল ও ওমান Oct 15, 2025
img
শিক্ষকদের বেতন সর্বোচ্চ হওয়া উচিত : নুরুল হক নুর Oct 15, 2025