শরীরে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে যেসব খাবার

নিয়মিত সুষম খাবার খাওয়া শরীরের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের মাধ্যমেই আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। তবে সব খাবারই উপকারী নয়। কিছু খাবার দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

আমরা প্রতিদিন যে সব খাবার গ্রহণ করি, তার মধ্যে কিছু খাবার ধীরে ধীরে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে হলে আমাদের সচেতনভাবে খাবার বাছাই করতে হবে।

আজকের প্রতিবেদনে এমন কিছু খাবারের তালিকা তুলে ধরা হলো, যেগুলো ধীরে ধীরে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

চেরি
চেরি খুব মিষ্টি একটি ফল। এর নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে এই ফল হতে পারে বিপজ্জনক। চেরির পাতায় সায়ানোজেনিক যৌগ থাকে। এগুলো খাওয়া উচিত নয়। কারণ এগুলোতে মারাত্মক হাইড্রোজেন সায়ানাইড থাকে। এমনকি অল্প পরিমাণে সায়ানাইড গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। সায়ানাইড এমন একটি বিষাক্ত পদার্থ, যা একজন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। তার জন্য কেবল চেরি ফল খাওয়া উচিত, তাদের বীজ খাওয়া উচিত নয়।

মাশরুম
মাশরুম খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। এটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। কিন্তু তাদের কিছু জাত খুব বিপজ্জনক। ‘ডেথ ক্যাপ’ বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত ধরনের মাশরুম। এতে লিভার ও কিডনি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জীবন কেড়ে নিতে পর্যন্ত পারে। এজন্য যেকোনো মাশরুম খাওয়ার আগে সেটি নিরাপদ কি না, তা জেনে নেওয়া উচিত।

আলু
এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে আলু ব্যবহার হয় না। কিন্তু সেগুলো সঠিক পদ্ধতিতে না খেলে বিপদ আছে। অঙ্কুরিত আলুতে সোলানাইন নামে একটি বিষাক্ত যৌগ থাকে। এটি খুবই বিষাক্ত।মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, তন্দ্রা, বমি ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আলু রৌদ্রোজ্জ্বল হলে তাদের মধ্যে সোলানিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এজন্য এগুলো সবসময় ঠাণ্ডা জায়গায় রাখা উচিত। এ ছাড়া কখনই সবুজ ও অঙ্কুরিত আলু খাওয়া ঠিক নয়।

কাঁচা কাজু বাদাম
অনেকে কাঁচা কাজু বাদাম খান। কিন্তু সেটি এতটা ভালো নয়। সাধারণত দোকানে আমাদের কাছে বিক্রি করা কাজু বাদাম প্রসেস করে বিক্রি করা হয়। কাঁচা কাজুতে বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এতে অ্যালার্জি হয়। অবশেষে মৃত্যু ডেকে আনে। এ জন্য খুব বেশি কাঁচা কাজু বাদাম খাওয়া অনুচিত।

পটকা বা ফুগু
এটি জাপানে পাফার মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। এই প্রজাতির মাছ বিষাক্ত। এসব মাছের শরীরে টক্সিন থাকে। এগুলো সায়ানাইডের চেয়ে ১২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। এ জন্য শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত শেফরাই এগুলো প্রস্তুত করেন। অন্যথায় প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। যদিও জাপানের মানুষ এই খাবার খেতে ভিড় করে।

জায়ফল
তরকারিতে ব্যবহৃত মশলার মধ্যে জায়ফল গুঁড়া অন্যতম। আপনি যদি এটি বেশি পরিমাণে খান তবে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। বমি বমি ভাব, বমি, ডিহাইড্রেশন, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি গুরুতর সমস্যা দীর্ঘমেয়াদে আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

Share this news on: