অনেকেই গরুর দুধ হজম করতে পারেন না কিংবা খেলেও অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে যারা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতায় ভুগছেন, তাদের জন্য আদর্শ বিকল্প হতে পারে নারকেল দুধ। শুধু বিকল্প হিসেবেই নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
নারকেল দুধ কীভাবে তৈরি হয়?
পাকা নারকেলের কুঁচি পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে যে ঘন, ক্রিমি সাদা তরল পাওয়া যায়, সেটিই নারকেল দুধ। এটি এখন স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
নারকেল দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় – এতে থাকা মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড (এমসিটি) ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সহায়ক – এমসিটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে এবং শরীরের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
হজমের জন্য ভালো – এতে উচ্চমাত্রার ফাইবার রয়েছে, যা হজম ক্ষমতা উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে উপকারী – স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, হাইড্রেশন বজায় রাখে ও প্রদাহ কমায়।
হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে – এতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সহায়ক।
নারকেল দুধ কেন খাবেন?
যারা ল্যাকটোজ হজম করতে পারেন না, তাদের জন্য নারকেল দুধ আদর্শ বিকল্প হতে পারে। এটি শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, স্বাদের দিক থেকেও দারুণ। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি যুক্ত করলে পুষ্টির ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং নানা রকম শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।