যে জন্য রমজানে মহানবী (সা.) সবচেয়ে বেশি দান করতেন

রাসূল সা. সব সময় দান করতেন। তবে রমজান মাসে তার দানের পরিমাণ বেড়ে যেতো। রমজানে রাসূল সা.-এর দান সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে—

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। রমজানে তার দানশীলতা (অন্য সময় থেকে) অধিকতর বৃদ্ধি পেত; যখন জিবরাঈল (আ.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। জিবরাঈল (আ.) রমজানের প্রতি রাতে আগমন করতেন এবং তারা পরস্পরকে কোরআন শোনাতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) তখন কল্যাণবাহী বায়ুর চেয়ে অধিক দানশীল ছিলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ০৬; মুসলিম, হাদিস : ২৩০৮; মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৬১৬)।

রমজানের সংস্পর্শ

রমজানের সংস্পর্শের কারণে তিনি এই মাসে বেশি বেশি দান দান করতেন। কারণ, এই বরকতময় মাস নেক আমলের সওয়াব বৃদ্ধি করে, মান-মর্যাদা উন্নীত করে, বান্দাকে আল্লাহ তায়ালার নিকটবর্তী করে নেক আমলের মাধ্যমে।

কোরআনের নির্দেশনা

রমজান মাসে রাসূল সা. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। কোরআনের এমন অনেক আয়াত আছে যেখানে আল্লাহর রাস্তায় দান করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। দুনিয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। মানুষকে আখিরাতমুখী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আয়াত তিলাওয়াত করলে আল্লাহর রাস্তায় দান-সদকার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। কোরআনের এসব আয়াত তিলাওয়াতের মাধ্যমে রাসূল সা. আল্লাহর রাস্তায় বেশি বেশি দানের প্রতি উদ্বুদ্ধ হতেন।

জিবরাঈল আ.-এর সংস্পর্শ

রমজানের প্রতি রাতে জিবরাঈল আ.-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো মহানবী সা.-এর। এই সাক্ষাৎ ছিল সৎ ব্যক্তির সঙ্গে উঠাবসার মতো। আর সৎ ব্যক্তির সঙ্গে উঠাবসা আল্লাহর প্রতি ঈমান বৃদ্ধি করে এবং আনুগত্যের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। এই সাক্ষাতের সংস্পর্শও রাসূল সা.-কে বেশি বেশি দান-সদকা করতে উদ্বুদ্ধ করতো।

আরএইচ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমি মনে হয় স্বর্গে যেতে পারব না: ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
দেশ কোথায় যাচ্ছে : ব্যারিস্টার শামীম হায়দার Oct 14, 2025
img
প্রতিটি জেলায় আলাদা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশ Oct 14, 2025
img
লড়াই করে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিরিজ জিতে যত কীর্তি ভারতের Oct 14, 2025
img
তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনার পরে মুখ খুললেন তনির স্বামী Oct 14, 2025
img
বিএনপির এই রাজনীতিটা অত্যন্ত ইতিবাচক : জিল্লুর রহমান Oct 14, 2025
img
দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরবৃদ্ধি Oct 14, 2025
img

সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

কুয়েতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশি দূতের সাক্ষাৎ Oct 14, 2025
img
সেনাবাহিনীকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, অতীতে কখনো হয়নি : রুমিন ফারহানা Oct 14, 2025
img
এখন গাজাকে পুনর্গঠন করার সময় : ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
জামায়াত আমির-ডেনিশ রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 14, 2025
img
দেশে অস্থিরতার চক্র ভাঙার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন : জাহেদ উর রহমান Oct 14, 2025
img
সংগীত কিংবদন্তিদের গল্প নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন স্ট্রেঞ্জার থিংস তারকা ফিন উলফহার্ড! Oct 14, 2025
img
ইসি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই জনগণের, ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ Oct 14, 2025
img
অবরোধ প্রত্যাহার ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের, যানচলাচল স্বাভাবিক Oct 14, 2025
img
স্বর্ণ ৫ হাজার ও রুপা ৬৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে ২০২৬ এর মধ্যেই! Oct 14, 2025
img
সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও শিরোপা হাতছাড়া Oct 14, 2025
img
টেইলর সুইফটের নতুন অ্যালবাম রেকর্ড ভাঙল অ্যাডেলের Oct 14, 2025
img
লম্বা বিরতির পর ফের ছোট পর্দায় স্বস্তিকা Oct 14, 2025
img
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে রুমিন ফারহানার মন্তব্য Oct 14, 2025