যে ৭ বদভ্যাস আপনাকে ধীরে ধীরে অলস বানাচ্ছে

অলসতা এক দিনে তৈরি হয় না, বরং দিন দিন কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের মাধ্যমে অলসতা আমাদের পেয়ে বসে। একসময় জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যা আমাদের শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি মানসিক শক্তিও কমিয়ে দেয়। চলুন দেখে নিই বিষয়গুলো।

ঘুম থেকে দেরিতে ওঠা
ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে অলসতার সঙ্গেই আসলে দিনের শুরুটা হয়। এতে দেহঘড়িরও ছন্দপতন হয়। এ ছাড়া দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার সময় কমে যায়, দিনভর বিষণ্ন লাগে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতি ব্যবহার
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একবার স্ক্রল করতে শুরু করলে অবচেতনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই অতিরিক্ত ব্যবহার কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিনকে দিন অলস করে তোলে।

কালক্ষেপণ
পড়ার টেবিল, আলমারির কাপড় গোছানো কিংবা ক্লাসের পড়া—এমন সব কাজ করতেই হবে জানার পরও করছি করব করে ফেলে রাখার অভ্যাস অনেকের। একেই বলে কালক্ষেপণ। এভাবে কালক্ষেপণ করতে করতে একসময় অনেক কাজ জমে যায়। কিন্তু তখন আর কাজ করতে ইচ্ছা করে না।

সারা দিন বসে থাকা
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস কিংবা বাড়ি—কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা বসে থাকা উচিত নয়। এতে কর্মদক্ষতা ও কাজ করার স্পৃহা কমে যায়। তাই একটানা বসে না থেকে মাঝেমধ্যে বিরতি নিয়ে একটু হেঁটে আসুন। এতে আপনার দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং সতেজ বোধ করবেন।

কায়িক শ্রম না করা
পরিশ্রম না করলে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে, শরীর ও মনকে অলস করে তোলে। তাই প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।

ফাস্ট ফুডে আসক্তি
অনেকের ফাস্ট ফুড ছাড়া চলেই না। ফাস্ট ফুডে থাকা অতিরিক্ত তেল–চর্বি দেহের জন্য ক্ষতিকর। খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই অলসতা থেকে বাঁচতে স্লো ফুডে (স্থানীয় ও নিজস্ব খাবার) অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।

পূর্বপরিকল্পনা না থাকা
পরিকল্পনা ছাড়া সহজ কিছুও অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অলসতার অন্তহীন চক্র থেকে বের হতে কোনো কাজ করার আগে তার স্পষ্ট পরিকল্পনা করুন।

আরএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

পাঁচ সংকটাপন্ন ব্যাংক একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন Oct 14, 2025
img
গাজাবাসীর মানবিক সহায়তায় অতিরিক্ত ৬ মিলিয়ন ইউরো দিচ্ছে আয়ারল্যান্ড Oct 14, 2025
img
বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিনিদের ব্যবসার পরিসর বাড়বে : অর্থ উপদেষ্টা Oct 14, 2025
দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে যা বললেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান Oct 14, 2025
কাল শিক্ষকদের সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি! Oct 14, 2025
আধুনিক বিজ্ঞানে মুসলিমদের অসাধারণ অবদান! Oct 14, 2025
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা Oct 14, 2025
প্রজেকশন মিটিংয়ে শিবিরের খাবার , যা বলছে ছাত্রদল প্যানেল Oct 14, 2025
জব্দ নয়,খাবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে: প্রধান নির্বাচন কমিশন Oct 14, 2025
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করলেন মালাইকা Oct 14, 2025
img
দিল্লি টেস্টে রেকর্ড জাদেজার Oct 14, 2025
img
এনসিপি শুধু আসনের রাজনীতির জন্য কারো সঙ্গে জোট করবে না : সারজিস আলম Oct 14, 2025
img
আহান পান্ডে ও অনীত পড্ডাকে ঘিরে প্রেমের গুঞ্জন Oct 14, 2025
এমবাপে প্রকাশ করলেন রোনালদোর প্রতি অনুরাগ Oct 14, 2025
img
সেফ এক্সিট কারা চাইছেন, তালিকা প্রকাশ করবে এনসিপি Oct 14, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকসহ যুবক গ্রেপ্তার Oct 14, 2025
img
রাতে হঠাৎ মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার Oct 14, 2025
img
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১৮ নভেম্বর Oct 14, 2025
img
জেন-জি বিক্ষোভের মুখে হেলিকপ্টারে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট Oct 14, 2025
img
মিসরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘অর্ডার অব দ্য নাইল’ পেলেন ট্রাম্প Oct 14, 2025