পছন্দের খাবার খেয়েও যেভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন

যদি আপনার ডায়বেটিস থাকে কিংবা যদি ডায়বেটিস ধরা পড়ে তাহলে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় নিশ্চয়ই অনেক পরিবর্তন এনেছেন। পছন্দের খাবার ত্যাগ করা থেকে শুরু করে মিষ্টি এবং পানীয়, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। কিন্তু নিজের ওপর কি একটু বেশিই কঠোর হওয়া উচিত? কল্পনা করুন যে আপনি যদি আগের মতোই স্যান্ডউইচ বা স্মুদি উপভোগ করতে পারছেন কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তা নেই। এটা কি অবিশ্বাস্য অনুভূতি হবে না? তবে এটাও সম্ভব! আপনাকে যা করতে হবে তা হলো খাবার খাওয়ার ধরন সম্পর্কে সচেতন থাকা। পছন্দের খাবারটি খেয়েও রক্তে শর্করার মাত্রা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. রুটি
রুটিতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে, যার কারণে এটি দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। কিন্তু আপনি এটি এড়াতে পারেন। কীভাবে? রুটির টুকরো টোস্ট করার বা ফ্রিজে রেখে খাওয়ার আগে টোস্ট করে নিন। এটি করলে গ্লাইসেমিক সূচক প্রায় অর্ধেক কমে যেতে পারে, কারণ এতে প্রতিরোধী স্টার্চ তৈরি হয়।

২. কলা
আপনি যদি কলাপ্রেমী হন, তাহলে হলুদ পাকা কলার পরিবর্তে সবুজ কাঁচা কলা খাওয়ার কথা বিবেচনা করুন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির চিন্তা না করেই আপনি কলা উপভোগ করতে পারেন। কাঁচা কলা খেলে পাকা কলার তুলনায় ২০ গুণ বেশি প্রতিরোধী স্টার্চ পেতে পারেন। এগুলোর স্বাদ মিষ্টি নাও হতে পারে, তবে সুগারের বৃদ্ধি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।

৩. সাদা ভাত
ডায়াবেটিস রোগীদের বেশিরভাগ সময়েই সাদা ভাতের মতো উচ্চ-জিআই খাবার গ্রহণ সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভাত রান্না করে ফ্রিজে রাখলে তাতে প্রতিরোধী স্টার্চ বৃদ্ধি পায়। যখন এটি ঘটে, তখন সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক সূচক হ্রাস পায়, যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। এমনকী ক্যালোরিও কমে যায়। তাই এভাবে রেখে ভাত খেতে পারেন।

৪. আলু
সাদা ভাতের মতোই প্রথমে রান্না করে ফ্রিজে রাখলে আলুতে প্রতিরোধী স্টার্চও বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আলুর গ্লাইসেমিক সূচক হ্রাস পায়। এটি করলে কেবল আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে না বরং উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া খাওয়ানোর মাধ্যমে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।

আরএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নোবেল শান্তি পুরস্কারে এখনও সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী ট্রাম্প : শাহবাজ Oct 14, 2025
img
জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ Oct 14, 2025
img
জামায়াত নির্বাচনে জয়ী হলে জনগণের মালিক নয়, সেবক হবে : ডা. শফিকুর Oct 14, 2025
img
ঝালকাঠি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কেকার নিথর দেহ উদ্ধার Oct 14, 2025
img
রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক Oct 14, 2025
img
৩ বিভাগের সংঘর্ষে উত্তাল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আহত ১০ শিক্ষার্থী Oct 13, 2025
img
মিশরে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর Oct 13, 2025
img
ইসরায়েল থেকে ১৯৬৮ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি, ‘মাইলফলক’ বলল হামাস Oct 13, 2025
img
বিয়ের পর স্বামীর কাছে তনীর আবদার Oct 13, 2025
img
বাংলাদেশের মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ ৮০ ডলার Oct 13, 2025
রাকসুতে অভিনব কায়দায় প্রচারণা চালাচ্ছেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রার্থী! Oct 13, 2025
img
সাউথ আফ্রিকাকে বাগে পেয়েও হারাতে পারল না বাংলাদেশ Oct 13, 2025
img
উপকূলীয় অঞ্চলে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে : ত্রাণ উপদেষ্টা Oct 13, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ক্রিকেটারের Oct 13, 2025
আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার উপায় | ইসলামিক টিপস Oct 13, 2025
ছাত্রদল কি কারণে এগিয়ে Oct 13, 2025
img
কারামুক্ত ‘লগে আছি ডট কম’ এর এমডি Oct 13, 2025
img
যুদ্ধ শেষ হলেও আলোচনা শেষ হয়নি, মন্তব্য ট্রাম্পের Oct 13, 2025
বিশ্ববিদ্যালয়ে বাজেট শিক্ষার্থীদের কাছে আসে না: ভিপি সাদিক কায়েম Oct 13, 2025
ডিসেম্বরেই বিদেশিদের হাতে ৩ টার্মিনাল হস্তান্তর Oct 13, 2025