রোজায় ক্লান্তি দূর করবে এই ৫ কাজ

রোজায় ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখার ফলে ক্লান্তি, পানিশূন্যতা এবং মনোযোগের অভাব হতে পারে, যার সবকটিই প্রোডাক্টিভিটি এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে আপনার কিছু অভ্যাস রোজায়ও আপনাকে সুস্থ থাকতে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে-

১. স্বাস্থ্যকর এবং সুষম সেহরি খাবার খান
স্বাস্থ্যকর এবং সুষম সেহরি খাবার খাওয়া অপরিহার্য। কারণ এটি সারাদিন শরীরের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং চিনি ও চর্বি কম থাকে এমন খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। শক্তির মাত্রা বজায় রাখার জন্য এবং ক্লান্তি প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ধরণের ফল, শাক-সবজি এবং প্রোটিনসহ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

২. হাইড্রেটেড থাকুন
ইফতারের পর প্রচুর পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ পানিশূন্যতা ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। পানিশূন্যতা এড়াতে চব্বিশ ঘণ্টায় কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করা অপরিহার্য।

৩. ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন
কফি এবং চায়ের মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ঘুমের ধরনেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। রোজার সময় এই পানীয়গুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৪. ইফতারের সময় ধীরে ধীরে এবং মনোযোগ সহকারে খান
অতিরিক্ত খাওয়া এবং হজমের সমস্যা এড়াতে ইফতারের সময় ধীরে ধীরে এবং মনোযোগ সহকারে খাওয়ার অভ্যাস করুন। ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে আরও ভালোভাবে পুষ্টি শোষণ করতেও সাহায্য করে।

৫. ইফতারের সময় ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন
ইফতারের সময় ভারী খাবার হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনাকে ক্লান্ত করতে পারে। ইফতারের সময় হালকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। ফল, শাক-সবজি এবং প্রোটিন খেলে তা প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করতে পারে।

৬. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
রমজানে নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে ফিট থাকতে এবং শক্তির মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করবে। তবে পানিশূন্যতা এবং ক্লান্তি এড়াতে রোজা ছাড়া সময় ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এফপি/এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ

রাকসু নির্বাচন নিয়ে কি বলছেন শিক্ষার্থীরা? Oct 13, 2025
যে কারণে বাউল গান দিয়ে প্রচারণায় সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী Oct 13, 2025
চাকসু নিয়ে মুখ খুললেন রাফি! Oct 13, 2025
img
আদালত যেখানে রাখতে বলবে আসামিকে সেখানে রাখা হবে: চিফ প্রসিকিউটর Oct 13, 2025
img
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৫৭ Oct 13, 2025
img
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের চেয়ে বেশি যোগ্য কেউ নেই: আমীর ওহানা Oct 13, 2025
img
চাকসু নির্বাচন কমিশনে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের আধিক্য নিয়ে বিতর্ক Oct 13, 2025
img
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভারতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী Oct 13, 2025
img
রাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে ৬ প্লাটুন বিজিবি, ১২ প্লাটুন র‍্যাব Oct 13, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি আগামীকাল Oct 13, 2025
img
ভোটের দিন ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি শিবিরের Oct 13, 2025
img

ফোনে কর্নেল রাজিবকে শেখ হাসিনা

‘এবার আর কোনো কথা নাই, শুরুতেই দিবা’ Oct 13, 2025
img
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে আরব ও মুসলিম বিশ্বের প্রশংসা করলেন ট্রাম্প Oct 13, 2025
img
নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার Oct 13, 2025
img
দেশে ফিরে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান: আমান Oct 13, 2025
img

বাংলাদেশ ক্রিকেট

বিশ্বকাপে কোয়ালিফাইয়ের পথ ব্যাখ্যা করল বিসিবি Oct 13, 2025
img
গাজীপুরে ৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ Oct 13, 2025
img
ব্যক্তির নামে থাকা ১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন Oct 13, 2025
img
ইসিতে এবার শাপলা প্রতীকের দাবি করলো বাংলাদেশ কংগ্রেস Oct 13, 2025
img
গাজা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না নেতানিয়াহু Oct 13, 2025