হাতে মেহেদি লাগানোর আগে ও পরে কী করবেন?

ঈদের উৎসবকে আরও রঙিন ও আনন্দময় করতে মেহেদির নকশা অনেকের পছন্দের তালিকায় থাকে। তবে মেহেদি লাগানোর আগে ও পরে কিছু যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে, মেহেদির রং সুন্দরভাবে বসাতে এবং ত্বকের ক্ষতি এড়াতে কিছু নিয়ম মানা উচিত। অনেকেই মেহেদি দেওয়ার আগে হাতে মেনিকিউর বা ব্লিচ করে থাকেন, তবে রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেহেদি লাগানোর আগে বা পরে হাতে ব্লিচ করা উচিত নয়। তবে মেনিকিউর করা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই হাতে মেহেদি লাগানোর আগে পরে কি কি করতে হবে।

মেহেদির রং দীর্ঘস্থায়ী ও উজ্জ্বল করতে করণীয়

ব্লিচ থেকে বিরত থাকুন – হাতে মেহেদি লাগানোর অন্তত তিন দিন আগে ব্লিচ করা যাবে না।

পরিষ্কার হাত – মেহেদি লাগানোর আগে ভালো করে হাত ধুয়ে শুকিয়ে নিন।

এক্সফোলিয়েশন করুন – হাতে মরা কোষ থাকলে মেনিকিউর করিয়ে নিতে পারেন, এতে মেহেদির রং আরও ভালো বসবে।

মেহেদি দীর্ঘক্ষণ রাখুন – প্রাকৃতিক মেহেদি ব্যবহার করলে সারা রাত রাখাই ভালো, তবে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা রাখা উচিত।

লেবু ও চিনি ব্যবহার করুন – হাত ধোয়ার পর লেবুর রস ও চিনি মিশ্রিত তুলা দিয়ে আলতোভাবে মেহেদির ওপর লাগান, এটি মেহেদির রং গাঢ় ও স্থায়ী করতে সাহায্য করবে।

বাজারের কেনা মেহেদিতে অনেক সময় কেমিক্যাল থাকে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পুরো হাতে মেহেদি লাগানোর আগে হাতে ছোট্ট একটি অংশে পরীক্ষা করে নিন। যদি কোনো অস্বস্তি বা অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে সেই মেহেদি ব্যবহার না করাই ভালো।

এবার চলুন জেনে নিই জনপ্রিয় কিছু মেহেদির নকশা।

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নকশা জনপ্রিয়, যেমন—

অ্যারাবিক
মানডালা
জলছাপ
চেক
ফ্লোরাল
মিনিমালিস্টিক
ঝুমকা
চেইন
নূপুর
আংটি
ইমারত
ট্যাটু স্টাইল
গোল নকশা
আঙুল নকশা
পানপাতা
গম্বুজ

এছাড়া, চাইলে মৌলিক নকশায় হাত সাজাতে পারেন। নকশার ধরন ভরাট কিংবা হালকা হতে পারে। লম্বা হাতের জন্য মানডালা নকশা ভালো মানায়। সঠিক যত্ন ও নিয়ম মেনে মেহেদি লাগালে হাতের সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে উঠবে।

আরএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img

রাকসু নির্বাচন

ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার, ৫ অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ Oct 13, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা ভিসা বন্ড মালির, ১০ হাজার ডলার নির্ধারণ Oct 13, 2025
img
গাজা সফরে যেতে পারলে ‘সম্মানিত’ বোধ করবেন ট্রাম্প Oct 13, 2025
img
স্পেনে ভারি বৃষ্টিপাতে বন্যা, রেড অ্যালার্ট জারি Oct 13, 2025
img
ইসরায়েলে পা রেখেছেন ট্রাম্প Oct 13, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর Oct 13, 2025
img
ফ্রান্সে বাজেটের আগে নতুন সরকার ঘোষণা Oct 13, 2025
img
অমিত শাহের পরিসংখ্যানকে মিথ্যা বললেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি Oct 13, 2025
img
শিবিরকে নারীবিদ্বেষী হিসেবে তুলে ধরা হয়, বাস্তবে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা: জাহিদুল ইসলাম Oct 13, 2025
img
রোনালদো এখনও রিয়ালের ‘নম্বর ওয়ান’: এমবাপ্পে Oct 13, 2025
img
বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভারতীয় সড়ক ব্যবহার নিয়ে আশাবাদী ভুটান Oct 13, 2025
img
একাত্তরের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নষ্ট করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল Oct 13, 2025
img
আমাদের সেফ এক্সিটের প্রশ্ন নেই, আমরা টাকা লুট করিনি: ধর্ম উপদেষ্টা Oct 13, 2025
img
সিনেমায় বাঙালিয়ানা কোথায়: রঞ্জিত মল্লিক Oct 13, 2025
img
সিআইবি- ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো কী? Oct 13, 2025
img
৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস Oct 13, 2025
img
কীর্তিনাশা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি Oct 13, 2025
img
দুই-তিনটা পারফিউম একসাথে ব্যবহারের ফলাফল জানালেন ফারিণ Oct 13, 2025
img
বরিশালের হয়ে বিপিএল খেলবেন তামিম দাবি মিজানুর রহমানের Oct 13, 2025
img

২০২৫ সাল

এপ্রিল-জুনে এফডিআই প্রবাহে বড় ধাক্কা, কমেছে ৬১ শতাংশ Oct 13, 2025