গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে পাহাড় বা সমুদ্রে গেলে মনে রাখুন ৫ জরুরি নিয়ম

গ্রীষ্মের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা মার্চ-এপ্রিলেই করা উচিত। যদিও সারা বছর বাড়িতে কাটানো যায়, গ্রীষ্মের উত্তাপে ঠান্ডা দেশের ছুটি অনেক বেশি আকর্ষণীয়। কিছু মানুষ শৈলশহরে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন, আবার কেউ সমুদ্রতটে সময় কাটানোর সুযোগ মিস করেন না। যেখানেই যান, গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত।

হাইড্রেটেড থাকুন
শীতপ্রধান জায়গায় গরমের চিন্তা নেই। কিন্তু ডিহাইড্রেশনের ভয় রয়েছে। বেড়াতে গিয়ে জল খাওয়ার কথা ভুললে চলবে না। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে বেড়ানোর মজা নষ্ট হয়ে যাবে। শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে। উচ্চতা বেশি, এমন কোনও পাহাড়ি অঞ্চলে যদি বেড়াতে যান, তা হলে আরও বেশি করে জল খাবেন। না হলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

সানস্ক্রিন বাধ্যতামূলক
সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যান কিংবা শৈলশহরে, সানস্ক্রিন মাখতেই হবে। চড়া রোদ সর্বত্র। সূর্যালোকের হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন মাখতেই হবে। এতে বেড়াতে গিয়ে সান ট্যান, সানবার্নের মতো সমস্যা এড়াতে পারবেন।

গ্রীষ্মের ছুটি কাটুক প্রকৃতির কোলে, বাচ্চার জন্য প্ল্যান করুন এই ৩ আউটডোর অ্যাক্টিভিটি

আইটিনারি সাজিয়ে নিন
এই মরশুমে পাহাড়ে গেলেও সকালে ভালো গরম থাকবে। পাশাপাশি চড়া রোদে ঘোরাও মুশকিল। তাই আবহাওয়া দেখে প্ল্যান করুন। দিনের কোন সময় কোন জায়গা ঘুরে দেখলে কষ্ট কম হবে, সে রকম প্ল্যান করুন। যতটা কম রোদে ঘোরা যায়, সেই চেষ্টা করবেন।

হাল্কা খাবার খান
নতুন জায়গায় বেড়াতে গিয়েছেন, সেখানকার খাবার খেতে ভুলবেন না। কিন্তু নতুন খাবারের স্বাদ নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে চলবে না। বেড়াতে গিয়ে চেষ্টা করুন হাল্কা খাবার খাওয়ার। তাজা ফল, শাকসব্জি খেতে পারেন।

পোশাকে নজর দিন
গরমকালে যত হাল্কা ও সুতির পোশাক পরবেন, ততই ভালো। তবে, পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গেলে অবশ্যই শীতবস্ত্র নেবেন। আর যদি সমুদ্রতটে বেড়াতে যান, তা হলে ফুলহাতা পোশাক সঙ্গে নিন। চেষ্টা করুন সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরার। পাশাপাশি সানগ্লাস পরুন। দিনের বেলা সানগ্লাস ছাড়া রোদে ঘুরলে ড্রাই আইসের সমস্যা বাড়তে পারে।

আরএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ওএমআর পদ্ধতিতে হবে চাকসু নির্বাচন Oct 12, 2025
img
সৌদি আরবে গ্রেপ্তার ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী Oct 12, 2025
img
পরিচালকের ব্যক্তিগত ফোন ও হার্ড ডিস্ক চুরি Oct 12, 2025
img
শাপলা প্রতীকের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: সিইসি Oct 12, 2025
img
মক্কা অঞ্চলে নতুন সোনার খনি আবিষ্কার, বিস্তৃতি ১২৫ কিমি! Oct 12, 2025
img
হংকংয়ে বাংলাদেশ দল, মাঠের মান ও দূরত্ব বিড়ম্বনায় Oct 12, 2025
img
কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপির বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না : দুলু Oct 12, 2025
img
ফিল্মফেয়ারে আবেগের ঝড়, শাহরুখের সঙ্গে কাজলের ‘কালজয়ী’ স্মৃতি Oct 12, 2025
img
ডিএফটি এয়ারপোর্ট মূল্যায়নে নিরাপত্তা ও সেবায় সন্তোষজনক অবস্থানে বাংলাদেশ Oct 12, 2025
img
চলতি মাসের প্রথম ১১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৯ কোটি ডলার Oct 12, 2025
img
এশিয়ার প্রথম ব্যাটার হিসেবে ইতিহাস গড়লেন বাবর আজম Oct 12, 2025
img
১০ দলের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করছে ইসি Oct 12, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩০ Oct 12, 2025
img
এবার বিশ্ব জিমন্যাস্টিকসে নিষিদ্ধ ইসরায়েল Oct 12, 2025
img
আলিয়ার ফিল্মফেয়ার জয় নিয়ে সমালোচনার ঝড় Oct 12, 2025
img
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত থামানো হয়েছে : আফগানিস্তান Oct 12, 2025
img
মাউশি ভেঙে নতুনভাবে গঠিত হচ্ছে মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর Oct 12, 2025
img
সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে গুজব ও অপপ্রচার রোধে কাজ করতে হবে : তথ্যসচিব Oct 12, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে নিরাপত্তা তদারকিতে থাকবেন ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ Oct 12, 2025
img
ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য ডিপজলের প্রার্থনা Oct 12, 2025