হজে ভুল হলে করণীয় কী? জেনে নিন ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি

হজের ভুলত্রুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক. ইহরামবিষয়ক ভুল, দুই. হজের কর্মগত ভুল।

ইহরামগত বিষয়ে ভুল হলে করণীয়

ইহরামবিষয়ক ভুলের ক্ষেত্রে করণীয় হলো : ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ যেমন— সহবাস, শিকার, হত্যা বা এজাতীয় কোনো ইহরামবিরোধী কাজ ভুলবশত, না জেনে কিংবা নিদ্রিত অবস্থায় বা কোনো ওজরের কারণে করে ফেললে ফিদিয়া আদায় করতে হবে। ফিদিয়া হলো—পশু (বকরি, দুম্বা, উট) জবাই করবে অথবা ক্ষেত্রভেদে সদকা করবে।

অন্যদিকে ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে, বৈধ কোনো ওজর ছাড়া করে ফেললে ক্ষতিপূরণ ‘দম’ দিতে হবে এবং সে পাপীও হবে।

হজের কর্মগত বিষয়ে ভুল হলে

হজের কর্মগত ভুল তিন ধরনের—

১. হজের ফরজ তিনটি : ইহরাম পরিধান, আরাফায় অবস্থান ও তাওয়াফে জিয়ারত। হজযাত্রী আরাফায় অবস্থান করতে না পারলে পরে আবার হজ করা ছাড়া এর ক্ষতিপূরণ হবে না। ইহরামবিরোধী কাজ করে ফেললে ফিদিয়া দেবে।

আর তাওয়াফে জিয়ারত ছুটে গেলে পরে আদায় করে নেবে এবং ‘দম’ দেবে।

২. হজের কোনো ওয়াজিব সম্পূর্ণ ছুটে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ‘দম’ দিতে হবে। দম কোরবানির তিন দিনসহ বছরের যেকোনো সময়ে আদায় করতে পারবে।

তবে হারাম শরিফের চৌহদ্দিতেই আদায় করতে হবে। জবাই করার পর প্রাণীর রশি, লাগাম ও গোশত মিসকিনদের সদকা করে দেবে। হজের ভুলত্রুটির জন্য যে দম ওয়াজিব হয়, তা
দমদাতা নিজে ভক্ষণ করতে পারবে না। এভাবে কোনো ধনী মানুষও তা থেকে ভক্ষণ করবে না। এটা গরিব-মিসকিনদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে। (ফাতহুল কাদির : ৩/১৬১, ৩/১৬২, রদ্দুল মুহতার : ২/৬১৬, আল বাহরুর রায়েক : ৩/৭৮)

৩. হজের কোনো সুন্নত-মুস্তাহাব ছুটে গেলে দম জবেহ করে কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। তবে অবজ্ঞা-অবহেলা করে কোনো সুন্নত তরক করা উচিত নয়। হজে যেকোনো ধরনের ভুল হলেই দম দিতে হবে, এমন কথা ঠিক নয়।

আরএম/টিএ



Share this news on:

সর্বশেষ

img
মসজিদের কাছে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করল সৌদি সরকার Oct 12, 2025
img
ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ায় অবাক হইনি: জাদেজা Oct 12, 2025
img
সচেতনতা আর টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা Oct 12, 2025
img
যেভাবে জন্ম নিবন্ধন ছাড়াও টাইফয়েডের টিকা পাওয়া যাবে Oct 12, 2025
img
ন্যায় ও আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে হবে : বাবর Oct 12, 2025
img
বিতর্কিত তিন নির্বাচনের তদন্তে নাগরিকদের সহযোগিতা চাইল কমিশন Oct 12, 2025
img
যুদ্ধবিরতির পর গাজা শহরে ফিরেছেন ৫ লক্ষাধিক মানুষ Oct 12, 2025
img
আর নেই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ডায়ান কিটন Oct 12, 2025
img
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Oct 12, 2025
img
বাংলাদেশ বল খেলেনি, খেলেছে রশিদকে, দ্রুত উন্নতি প্রয়োজন: মুশতাক আহমেদ Oct 12, 2025
img
প্রতিদিনের খাবারেই লুকিয়ে আছে অ্যালার্জি প্রতিরোধের চাবিকাঠি Oct 12, 2025
img
পরিচালনার আদ্যোপান্ত বাবার কাছ থেকেই শিখেছেন আরিয়ান! Oct 12, 2025
img
বাঞ্ছারামপুরে জোনায়েদ সাকিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা Oct 12, 2025
img
মায়ামিকে জোড়া গোলে জেতালেন মেসি Oct 12, 2025
img
প্রতারণা নয়, সৌভাগ্যের ফোনেই পাল্টে গেল বৃদ্ধার জীবন Oct 12, 2025
img
জন্মদিনে অমিতাভের চল্লিশা পাঠ হলো কলকাতায়! Oct 12, 2025
img
শান্তি খুঁজে পেলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী Oct 12, 2025
img
আফগানিস্তানের ১৯ সীমান্তপোস্ট দখল করেছে পাকিস্তান Oct 12, 2025
img
৩ সপ্তাহ পর সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় Oct 12, 2025
img
গণভোট নিয়ে এখন আর বিতর্কের সুযোগ নেই : সারোয়ার তুষার Oct 12, 2025