রাখাইনের জন্য ‘মানবিক করিডরের’ নামে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করা হবে আত্মঘাতী একটি পদক্ষেপ, বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গতকাল পররাষ্ট্র উপদেষ্টার একটি বক্তব্যে আমরা অবহিত হয়েছি যে, মিয়ানমারে যুদ্ধ ও ভূমিকম্পের কারণে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে এবং সেখানে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার সহায়তা পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডর’ হিসেবে কক্সবাজার থেকে রাখাইন পর্যন্ত করিডর চাওয়া হয়েছে। মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাহেবের বরাতে সংবাদ মাধ্যমে এই খবর এসেছে।”
“কিন্তু একইসাথে আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও প্রেস সেক্রেটারি জনাব শফিকুল ইসলাম-এর বক্তব্যে জানতে পেরেছি যে সরকারের সাথে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার এমন আলোচনা হয়নি। এই দ্বিমুখী বক্তব্যে আমরা অত্যন্ত বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন। এতে করে প্রকৃত ঘটনা নিয়ে গোপনীয়তা রাখা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন জাগছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে রাখাইনের জন্য তথাকথিত মানবিক করিডর চালু করা হয়, তাহলে তা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”
নুর বলেন, “আপনারা জানেন, ৫ আগস্টের পরে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ চলছে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের পথে। এই অবস্থায় কক্সবাজারের ভূমি ব্যবহার করে রাখাইনের জন্য করিডরের বিষয়ে একজন উপদেষ্টা ও একজন প্রেস সেক্রেটারির দুই ধরনের বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা বিন্দুমাত্র আপোষ করবো না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত যে আচরণ করেছে, তা কখনোই বন্ধুসুলভ ছিল না। তাই মানবিক করিডরের নামে যদি মিয়ানমারকে সুযোগ করে দেওয়া হয়, তাহলে তা দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাকেও উসকে দিতে পারে।”
তিনি সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সরকার যদি এরকম আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়, তবে আমরা সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলব এবং সরকারকে এই পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে যা কিছু করা দরকার, তা-ই করব।”
আরএ/টিএ