শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা রয়েছে হাদিসে। মে দিবসে এ বাণী হয়ে ওঠে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। সব পেশার শ্রমিকের মতোই শোবিজকর্মীরাও শ্রম দিয়ে তাদের কাজ সম্পন্ন করেন। তবে ক্যামেরার সামনে থাকা তারকাদের চাকচিক্যের কারণে অনেকেই ভাবেন, এই পেশার মানুষরা বুঝি শ্রমিক নন—কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। তাদেরও আছে কঠোর পরিশ্রম, অনিশ্চয়তা আর অধিকার সংরক্ষণের সংগ্রাম।
আদতে শ্রমিকের দুর্দশার চিত্র সবখানেই এক।
শ্রমিক দিবসে শোবিজের পেশাগত সুখ-দুঃখ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু। অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। এখন শিল্পীদের জন্য বেশ কিছু কাজ করতে চান এ অভিনেতা।
যার মধ্যে রয়েছে শিল্পীদের কাজের নির্দিষ্ট সময় ও ন্যায্য পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেওয়া।
অপু বলেন, ‘শিল্পীদের কোনো নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নেই। দেখা গেল তাকে বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেল ভোর ৬টায়, সব শিল্পীকে তুলে নিয়ে যেতে যেতে স্পটে পৌঁছে ১১টায়। শুটিং শুরু হয় তার এক-দেড় ঘণ্টা পর।
সেই শুটিং শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে মধ্যরাত। আবার পরদিন ভোর ৬টায় গাড়ি এসে হাজির! তো একজন শিল্পী বিশ্রাম নেবেন কখন? তাই আমরা বারবার নিশ্চিত করতে চাচ্ছি, সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা যেন একজন শিল্পী কাজ করেন।’
পারিশ্রমিকের বিষয়ে অপু বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই এ ব্যাপারে কথা হচ্ছিল, অভিনয়শিল্পী সংঘও চেষ্টা করেছে, কিন্তু সুরাহা হয়নি। পারিশ্রমিকের বিষয়ে আমারও ভালো-মন্দ অভিজ্ঞতা আছে। তবে একজন শিল্পী যদি এসে আমাদের সংগঠনের কাছে অভিযোগ দেন, আমরা ডিরেক্টর গিল্ডের সঙ্গে বসে সেটার সমাধান করি।
আমাদের আগে যারা ছিলেন তারাও এ ব্যাপারে খুব সচেতন ছিলেন।’
পরিবর্তন হচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে অপু বলেন, ‘আশার কথা, সবার মানসিকতায় এখন বদল এসেছে, প্রযোজক-পরিচালকরাও এখন বুঝতে পারছেন। শিল্পীরা তাদের শ্রমের মূল্য সময় পেরোনোর আগেই পাবেন বলে আশা করি।’
আরএম/টিএ