১৯৯৯ সাল। রাজস্থানের জোধপুরে বলিউড সিনেমা ‘হাম সাথ সাথ হ্যাঁয়’–এর শুটিং চলাকালীন সময় উঠেছিল বড়সড় এক অভিযোগ—বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছেন অভিনেতা সালমান খান। এ অভিযোগের পর থেকেই শুরু হয় বলিউড সুপারস্টারকে ঘিরে এক দীর্ঘ ও জটিল আইনি অধ্যায়ের।
২০১৮ সালে এ মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে জোধপুর আদালত। সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যদিও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
এ বার তিন ধরনের বিরল বন্যপ্রাণী খেয়ে ফেললেন ‘লাপতা লেডিস’ খ্যাত অভিনেত্রী ছায়া কদম। মারাঠি এই অভিনেত্রীর সিনেমা ‘অল ইউ ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি নাকি নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি ইগুয়ানা, কচ্ছপ ও হরিণের মাংস খেয়েছেন। ইতিমধ্যেই বন দপ্তরের পক্ষে আইনি নোটিশ গিয়েছে ছায়ার কাছে।
এমনিতেই ভারতে এই তিন প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ। অভিনেত্রী কীভাবে এই তিন বিরল প্রাণীর মাংস পেলেন তার খোঁজ চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ঠানে এলাকা থেকে এই মাংস খেয়েছেন অভিনেত্রী। মনে করা হচ্ছে, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে চোরাশিকারিরা।
ইতিমধ্যেই তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক রাকেশ ভোর জানিয়েছেন, ছায়া কদম শহরে নেই। ছবির শুটিংয়ের কাজে চার দিনের জন্য বাইরে আছেন।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সহযোগিতা করবেন। এরই পাশাপাশি আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থাও করছেন তিনি। সবে কর্মজীবনে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। ‘অল ইউ ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ এবং ‘লাপতা লেডিজ’— দুটি ছবিই প্রশংসিত। এর মধ্যে তবে কি কোনো বিপদের মুখে পড়বেন অভিনেত্রী?
এসএন